ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশের পূর্বাঞ্চল সীমান্তে নিজের জীবনবাজি রেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে একাধিক আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনসহ সাহসী, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ নির্ভীক সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘সম্মাননা স্মারক’ পেলেন যুগান্তর পত্রিকা, যমুনা টেলিভিশন ও ডেইলি অবজারভারের আখাউড়া প্রতিনিধি এবং আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মিশু।
মঙ্গলবার বিকালে পৌর শহরের দুর্গাপুর নূরে মদিনা জামে মসজিদ মাঠে অবসরপ্রাপ্ত যৌথবাহিনী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধের সংবর্ধনা জাঁকজমকপূর্ণ অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশুর হাতে এ 'সম্মাননা স্মারক' তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এদিকে চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিলে পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে 'আরশি কথা' পত্রিকা মহিউদ্দিন মিশুকে সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারত দু'দেশের সৌহার্দ্য, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও উন্নয়ন তুলে ধরে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় মিশুকে ওই সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে মহিউদ্দিন মিশু বাংলাদেশে সাংবাদিকতার জগতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জায়গা করেছেন। মহিউদ্দিন মিশু বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চল সীমান্তের মাদকের বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন।
এ সম্মাননা শুধু ব্যক্তি মহিউদ্দিন মিশুকে উন্নীত করেনি। উন্নীত করেছে গোটা পূর্বাঞ্চল তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকতাকে। যুগান্তর পত্রিকায় একাধিক আলোচিত অনুসন্ধানী প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্বীকৃতি সরূপ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
সাহসী, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতায় দেশ সেরা সাংবাদিকের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে ‘মৃত্তিকা পদক’ পেয়েছেন মহিউদ্দিন মিশু। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় মাদক চোরাকারবারিসহ দূর্নীতিবাজ অপরাধিরা একাধিবার হত্যা চেষ্টা থেকে প্রাণে রক্ষা পান মিশু।
অসৎ ব্যক্তিদের রক্তচক্ষু আর অপরাধীদের দায়ের করা মামলা কিংবা হামলায় সর্বশান্ত করার ব্যর্থ অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত থাকলেও মিশুর পেশাগত কাজকে সততার সঙ্গে আরও এগিয়ে দিয়েছে। আর তাই মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মিশু।
তার এ অসামান্য অবদানে আপ্লুত দেশের পূর্বাঞ্চলের সাংবাদিক সমাজ।
ভারত-বাংলাদেশ সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন তুলে ধরে বিশেষ অবদান রাখায় এর আগেও পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মহিউদ্দিন মিশু সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মহিউদ্দিন মিশুকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার সম্মাননায় ভূষিত করে পদক তুলে দেন।
সম্মাননা গ্রহন করে মহিউদ্দিন মিশু বলেন, ‘যে কোনো স্বীকৃতি কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা তৈরি করে। আমি অনুপ্রাণিত, আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত যৌথবাহিনী কল্যাণ পরিষদের উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ। সংগঠনের সম্পাদক মো. সফিউল আলম স্বপনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, প্রধান মেহমান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সৃষ্টির সেবায় সষ্ট্রার সন্তুষ্টি সংস্থার পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শাহজাদা খাদেম (ভাইজান), সমাজ সেবক মো. জালাল উদ্দিন (জালু), উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, শিক্ষানুরাগী এন এস কবির (পলাশ), শিক্ষক কাজী মো. তারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মনিরুজ্জামান মনির/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: