• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কৃষক নইলু হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৩৩ পিএম
কৃষক নইলু হত্যা মামলায়
৮ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক : গাংনীর লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামের কৃষক এনামুল হক নইলু হত্যা মামলায় আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে বিচারক।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. শহীদুল্লাহ এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী উপজেলার লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামের মৃত ছৈয়পত আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান, জারমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান ওরফে মানা, মহব্বত আলীর ছেলে ছামিদুল ইসলাম, রহমত উল্লাহর ছেলে শাহার আলী ও তার ছেলে টিপু সুলতান, গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল খালেক, আহম্মেদ আলীর ছেলে আক্তারুজ্জামান আক্তার ও একই উপজেলার নওপাড়া আব্দুল আজিজের ছেলে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লু।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে এনামুল হক নইলু মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ধলা গ্রামের ঈদগাহ মাঠের কাছে আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। হামলায় এনামুল হক নইলু মারাত্মক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর থেকে রাজশাহী রেফার্ড করার পর পথের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত এনামূল হক নইলুর বড় ভাই কাথুলী ইউনিয়ণ পরিষদের মেম্বর আজমাইল হোসেন টুটুল বাদী হয়ে আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমানকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার প্রাথমিক তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গাংনী থানার এসআই মাহাতাব উদ্দিন। পরে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর হয়। সিআইডির এসআই হাসান ইমাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ১৫ জন তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে আদালত আসামি আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য। আসামিপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image