• ঢাকা
  • বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রমজানকে সামনে রেখে হু হু করে বাড়ছে ছোলার দাম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২০ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৫১ পিএম
ছোলা, দাম, বাড়ছে
রমজানের মুখরোচক খাবার ছোলার দাম হু হু করে বাড়ছে।

ডেস্ক রিপোর্টার : ভোজ্যতেল সয়াবিন, ব্রয়লার মুরগি, আটা, ডিম, চিনির পর রমজানকে সামনে রেখে এবার ছোলার দাম বাড়ানোর পায়তারা করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজানে সবচেয়ে মুখরোচক এই খাবারের চাহিদাকে পুঁজি করে এর মধ্যেই ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজির ছোলা এখনই বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। অথচ এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। আর ঠিক একমাস আগে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি করেছেন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। যা এক বছর আগেও ছিল ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা। যদিও রমজানের চাহিদা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে ছোলা আমদানিও শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে যাচ্ছো না।

অথচ সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছিলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল না করে। সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন থাকতে হবে। অথচ সোমবার রাজধানীরবাজার ঘুরে দেখার গেলো যায় তাঁর দেওয়া হুঙ্কারের উল্টো চিত্র। রমজান আসার আগেই দাম বাড়ার প্রতিযোগীয় নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। ভোক্তা অধীকার অফিস সংলঘ্ন কাওরান বাজার ঘুরেও দেখা যায় একই চিত্র। এ বাজারে কয়েক ঘন্টায় চোখে পড়েনি ভোক্তা অধিকারের কোন তৎপরতা। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রেতোদের মাঝেও। আলী হোসেন নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার বলছে, চাহিদার চেয়ে বেশি আছে। দামও কম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি কোনো মিল নেই। কয়েক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। অথচ এখনো রমজান আসতে একমাস বাকি। দেখার কি কেউ নেই?

মধুবাজারের জেনারেল স্টোরের আমিরন ঢাকানিউজ২৪ ডটকমকে বলেন, ৮৪ টাকা কেজি কিনে ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। যা কয়েক মাস আগেও ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। গোড়াতেই দাম বাড়াচ্ছে। তাদের ধরলেই বাজার স্থির থাকবে। আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটেই দাম বাড়াচ্ছে। একই এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল এ প্রতিবেদককে বলেন, বেশি দামে কেনা। আমরা অল্প লাভে বিক্রি করি। শুধু কেবল মধুবাজারই নয় বাড়তি দামে ছোলা বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের।

টিসিবি, ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিসিসিআই টিসিবি সূত্রে জানা যায়, দেশে বছরে ছোলার চাহিদা দেড় লাখ টন। রমজানে ইফতারির অন্যতম উপকরণ হিসেবে ছোলার চাহিদা বাড়ে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনা করে গত চার মাসে অতিরিক্ত প্রায় দেড় লাখ টন ছোলা আমদানি করতে এলসি খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো দেশে চলেও এসেছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, দেশে ছোলার চাহিদা বছরে দেড় লাখ টন। রমজান মাসে এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দরকার হয় এক লাখ টন। অন্যান্য মাসে দশমিক ৫ টন প্রয়োজন হয়। আর দেশে উৎপাদন হয় দশমিক ৬ টন। তারপরও আমদানি হয়েছে ২ লাখ টনের মতো। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দর হচ্ছে ৬৯ টাকা ৬৫ পয়সা। এক মাস আগে যা ছিল ৬৮ টাকা ৯২ পয়সা। আর এক বছর আগে ছিল ৭৪ টাকা ৭৫ পয়সা।

আরও জানা যায়, গত জুলাই থেকে ডিসেম্বরে এলসি নিষ্পত্তি (দেশে এসেছে) হয়েছে সাড়ে ৫৩ হাজার টন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে এসেছে ২১ হাজার টন। সাত মাসে দেশে ছোলা এসেছে ৭৪ হাজার ৫০০ টন। আর চাহিদা ৩ টনেরও কম।

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর

আরো পড়ুন

banner image
banner image