
নতুন জীবনে ফিরে যেতে চায় কথিত ‘হিজরতের’ নামে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া ৯ তরুণ-তরুণী। র্যাবের গোয়েন্দা টিম ও ব্যাটালিয়ন তাদের উদ্ধারও করেছে।ডি-রেডিক্যালাইজ কর্মসূচির আওতায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়েও দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। একই সঙ্গে তাদের ভবিষ্যৎ গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার র্যাব ফোর্সেসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘নবদিগন্তের পথে’ নামক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়,গত ২২ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৯ জন তরুণ-তরুণী ধর্মের ভুল ব্যাখ্যায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কথিত হিজরতের জন্য একযোগে গৃহত্যাগ করেছিলেন।এ বিষয়ে তাদের পরিবার সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা,র্যাব-৭ ও র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় গত ২৫ ডিসেম্বর তাদেরকে র্যাবের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।সেসময় বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য কাউন্সেলিং করা হয়। কাউন্সেলিংয়ে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,নতুন কোনো জঙ্গি সংগঠনে তারা উদ্বুদ্ধ হয়নি।বিভিন্নভাবে ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় তারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় হিজরতের নামে ঘর ছাড়েন।বিষয়টি জানার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেকে উদ্ধার করে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।
তিনি বলেন, পাহাড়ে পলাতক জঙ্গি সদস্যদের ওপর র্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।তাদের গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চলছে।এরই মধ্যে কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ তালিকায় একজন নারীকেও বুঝিয়ে আলোর পথে আনা হয়েছে।
এ সময় অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে আসা তরুণ-তরুণীদের ফুলের শুভেচ্ছা ও বই উপহার দেয় র্যাব। এছাড়া এলিট ফোর্সটির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
তাদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ সেবায় অংশগ্রহণের প্রত্যাশার কথা জানান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কামরুল হাসান।
তারা হলেন—আবু বকর সিদ্দিক (১৯), মো. ফারুক হোসেন (১৮), মুফলিয়া আক্তার (১৮), রুনা আক্তার (১৮), কানিজ ফাতিমা ইফতি (২১) এবং ১৮ বছরের কম বয়সী আরও ৪ জন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: