• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আমদানি ব্যয় কি ডলারের দাম বাড়ার দায়


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:১০ পিএম
আমদানি ব্যয় কি ডলারের দাম বাড়ার দায়
ডলার

নিউজ ডেস্ক: বাজারে কয়েকদিন ধরে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডলার। টাকার বিপরীতে ডলার সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৭-৯৮ টাকায়। ডলারের বিপরীতে টাকার মানের এমন বেহাল দশার একটা কারণই সামনে নিয়ে আসছে সরকার, সেটি আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কেবল আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির জন্যই ডলারের দাম আকাশচুম্বী হয়নি।

এ কথা অনস্বীকার্য যে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। বিশ্ববাজারে বেড়েছে পণ্যের দাম। কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়। করোনাসময়ে যেখানে হুন্ডি ব্যবসা একরকমের বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেটি এখন চলছে পুরোদমে। এতে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
 
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে জ্বালানি তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), ভোজ্যতেল, গমসহ অনেক পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে গেছে। তবে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে ইনভয়েসিংয়ের (পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেখানো) বিদেশে টাকা পাচার করছে।
 
হুন্ডি ব্যবসা ও বিদেশে টাকা পাচারের কারণে আমদানি ব্যয়ের ধাক্কা সামলানো গেলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের তোপে কমানো যাচ্ছে না ডলারের দাম।
 
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ও হুন্ডি ব্যবসা চাঙা হয়ে ওঠায় চাপ পড়েছে রাষ্ট্রের রিজার্ভে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয় বাড়ায় সৃষ্টি হতে পারে বাণিজ্য ঘাটতি।
 
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,  চলতি হিসাবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে এবার ৩০ বিলিয়ন বা তিন হাজার কোটি ডলার ঘাটতি হতে পারে। হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দিয়ে এই ঘাটতি পোষানো যাবে না। ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট বা মূলধনি হিসাব আমলে নিলেও বছর শেষে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারের ঘাটতি থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছি। ২০০১ সালে আমাদের রিজার্ভ ১৯০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। এরপর কমার প্রবণতা শুরু হয়েছে। মাঝে রিজার্ভ ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে নেমে আবার ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
 
বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে মইনুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যঘাটতি কমিয়ে আনতে হলে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। আবার খোলাবাজারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামের ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে। এটা কোনোভাবেই তিন–চার টাকার বেশি হওয়া যাবে না।

ব্যবধান যত বাড়বে অবৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা তত বাড়বে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা কমে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রবাসী আয় দিয়ে বাণিজ্যঘাটতি মেটাতে পারলে বাংলাদেশ বিপদে পড়বে না।
 
অপ্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় কমাতে ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলাসবহুল পণ্যে শুল্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে মার্জিন আরও বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। এ ছাড়া ডলারের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে আমদানি বাণিজ্যে ওভার–ইনভয়েসিং ঠেকানোর বিষয়েও সরকারকে কড়া নজর রাখার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image