নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর জেলায় টানা বর্ষণসহ বন্যার পানিতে ডুবে যায় রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। নামাজের ঘর মসজিদগুলোতে নিয়মিত আজান হলেও পানির কারণে জামায়াতে নামাজ পড়া সম্ভব হচ্ছে না। এখনো বেশ কিছু মসজিদে পানি রয়েছে।
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে বন্যাকবলিত কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
হাজী আব্দুল কাদের জামে মসজিদের ভেতর প্রায় হাঁটু পরিমাণ বন্যার পানি ছিল। নিয়মিত আজান হলেও পানির কারণে নামাজ পড়া যায়নি।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মো. আব্দুল্লাহ বলেন, হাজী আব্দুল কাদের জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে আছি। মসজিদের ভিতরে পানি ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার চরশাহী, চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলী, উত্তর জয়পুর, দত্তপাড়া, মান্দারী, বাঙ্গাখাঁসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা শুরু হয়।
অন্য দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চরকাদিরাসহ অনেক ইউনিয়ন। পাশাপাশি রামগতি উপজেলার চর বাদাম, চর আলগী, চর পোড়াগাছা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে পানি নামলেও বাড়িঘর থেকে এখনো নামেনি। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বুকপানি ও কোথাও কোমর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
এছাড়াও কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ভুলুয়া নদী সংশ্লিষ্ট বিস্তীর্ণ জনপদ প্রায় দেড় মাস ধরে পানিবন্দি। বাড়ির উঠানসহ মাঠ-ঘাট, ফসলি ক্ষেত এখনো পানিতে থৈ থৈ করছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের উত্তরে দুইটি উপজেলা একটি হলোনরায়পুর অপরটি হলো রামগঞ্জ উপজেলা এই দুইটি উপজেলায় বন্যায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: