মো: জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার : চা দিবসের সংকল্প শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প এই স্লোগান কে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে তৃতীয় বারের মত জাতীয় চা দিবস ২০২৩ইং পালিত হয়েছে।
চা অত্যান্ত জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে পরিচিত, চায়ের গুণগত মান, প্যাকেটজাত, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, দৃষ্টিনন্দন সহ মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পেছেন জাতীয় চা পুরস্কার। সরকার দেশে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২ টায় ( ৪ জুন) শ্রীমঙ্গলস্থ অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের বিটিআরআই স্কুল মাঠে আয়োজিত জাতীয় চা দিবস ২০২৩ ইং উপলক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই পুরস্কার হাতে তুলে দেন তিনি ।
সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো ,একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী,সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এবং শ্রেষ্ঠ চা-পাতা চয়নকারী ব্যক্তি বা শ্রমিক ও বৈচিত্রময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি।
প্রধান অথিতি বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়। এই শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন।
দেশের চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাদের নিজ নিজ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: