সিরাজগঞ্জ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শাহজাদপুর, কাজিপুর এবং চৌহালি উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষের ঘরবাড়ি, আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের মানুষের। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু না করায় এই ভাঙন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢল আর উজান থেকে বয়ে আসা পানিতে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি গত কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শাহজাদপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। আবার কেউ কেউ আতংকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ছেলে সন্তান আর বয়স্কদের নিয়ে ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পারের মানুষের।
ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। কিন্তু মার্চ মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডার পেলেও এখনো স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু করেনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আর উদাসীনতার কারণে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশল শফিকুল ইসলাম জানান, নদীর ডানতীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে নদীতে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ভাঙনে জেলার শাহজাদপুর এবং চৌহালি উপজেলার অর্ধশত বাড়িসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মাসুদ মোশাররফ/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: