মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় রোজার মাস জুড়ে বেড়েছে লোডশেডিং অভিযোগ মুমিন মুসলমান ও সাধারণ মানুষের।
উপজেলার ঝিটকা কলাহাটা গ্রামের সারজাহান ও শাহরিয়ার সৌরভ বলেন, রোজার মাসের আগে এই রকম লোডশেডিং না হলেও রোজা আসার পর থেকে লোড শেডিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সারা দিন রোজা থাকি সন্ধ্যায় ইফতারের পর একটু রেস্ট নিতে চাই কিন্তু কি করার বিদ্যুৎ থাকে না বাহিরে বের হয়ে রাস্তার পাশে বসে থাকতে হয়। তারা আরও জানান, তারাবী পড়ার সময়ও বিদ্যুৎ চলে যায়।
উপজেলার লেছরাগঞ্জ বাজার থেকে রিক্সা চালক সিদ্দিক (৫৫) বলেন, এহোন ঈদের বাজার যে ভাবে কারেন্ট আসে-যায় রিক্সায় চার্জ উঠে না। ভাবছিলাম এই বাজারে কিছু টাকা কামামু কিন্তু গাড়িতে তো ঠিক মতো চার্জই উঠে না। আগে তো এই রকম কারেন্ট যাইতো না এহোন এতো কারেন্ট ক্যান যায় কে জানে। গাড়িতে চার্জ না থাকায় রাতে ভালো মতো গাড়ি চালাইতে পারি না। এই ভাবে কারেন্ট গেলে তো আমাদের সমস্যা।
ঝিটকা বাজারে ঈদের পোশাক কিনতে আসা রবিন মোল্লা (২৬) জানান, ঈদের জামা-কাপড় কিনতে আসছি। এমনিতেই অনেক গরম তার মধ্যে কারেন্ট নেই। সব দোকানের ফ্যান (পাখা) বন্ধ রোজা থেকে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই রোজার মধ্যে এই রকম ভাবে লোডশেডিং দেওয়া উচিৎ হচ্ছে না।
জিন্দাশাহ জামে মসজিদের ইমাম জানান, সারা দিন তো বিদ্যুৎ থাকেই না। ইফতার খাওয়ার পর বিদ্যুৎ থাকে না, রাতের বেলায় তারাবির নামাজ আদায় করতে গেলেও বিদ্যুৎ চলে যায়। রোজার আগে এই রকম লোডশেডিং হয় না রোজার মাস জুড়ে এমন করা উচিৎ হয়'নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে হরিরামপুরের সচেতন মহলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকে) রোজার মাসে অতিরিক্ত লোডশেডিং নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রতিবাদ দেখা যায়।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ঝিটকা জেনারেল (ডিজিএম) সামিউল কবির জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ প্রদান করছি। এই গরমে শুধু আমাদের এখানে নয় সারা বাংলাদেশে এই রকম লোডশেডিং হচ্ছে। তারাবী নামাজের সময় লোডশেডিং দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, রাতের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায় আমাদের কিছু করার থাকে না চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিয়ে থাকি বলে জানান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / সাকিব আহমেদ/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: