আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের এ মুহূর্তে দেশে ফেরা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তার উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে।
সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
রনিল মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার পূর্বসূরি গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশে ফিরলে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমি এ সময়টাকে তার (গোতাবায়া) ফেরার জন্য উপযুক্ত মনে করি না। তিনি দ্রুতই ফিরছেন এমন কোনো ইঙ্গিতও পাইনি।
শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। সে বিক্ষোভের জেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপ হয়ে গত ১৩ জুলাই সিঙ্গাপুর যান তিনি। সেখান থেকেই ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান গোতাবায়া।
তার পদত্যাগের কয়েক দিনের মধ্যেই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
রনিলের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কায় গোতাবায়া রাজত্বের দৃশ্যত অবসান হয়, তবে এখনও প্রশাসনিক দায়িত্ব হস্তান্তর এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যপরিচালনার মতো বিষয়ে গোতাবায়ার সঙ্গে রনিলের যোগাযোগ হয় বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রশাসন আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ শ্রীলঙ্কাকে ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার দেনা শোধ করতে হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি মাসের শেষ নাগাদ আইএমএফের সঙ্গে কর্মী পর্যায়ে চুক্তি করা যাবে বলে আশা করছেন রনিল।
২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটি জুনে আইএমএফের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা চায় বলে উঠে আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এ অর্থ দিয়ে দেশটি জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ব্যয় মেটাতে চায়।
জানা যায়, আইএমএফের পাশাপাশি অন্য পক্ষগুলোর কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ সহায়তা পেতে পারে শ্রীলঙ্কা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: