
স্টাফ রিপোর্টার: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি চুক্তির ১৯ মাস অতিক্রম হলেও চা বাগান মালিক পক্নষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় শ্রমিকরা ১২০ থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির জন্য ধর্মঘট করছে।
সারাদেশে একযোগে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের ২৩১টি চা-বাগানে চলমান ধর্মঘট নিরসনে চা-শ্রমিক ও বাগান মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী।
আগামীকাল বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে আসবেন। সকাল ১১ টায় চা শ্রমিক পক্ষ ও মালিক পক্ষের সাথে বৈঠকে বসবেন।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, মহাপরিচালক শ্রীমঙ্গলে এসে প্রথমে বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে বসবেন। পরে তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এখন যেহেতু ধর্মঘটের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাই শুরুতেই দুই পক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান কঠিন হবে। ইতিমধ্যেই উভয় পক্ষকে মহাপরিচালকের সঙ্গে বসার জন্য বলা হয়েছিল।
এদিকে গত মঙ্গলবার থেকে চা–বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৪ দিন ধরে কর্মবিরতি ও গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা। গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল বলেন, যেহেতু মহাপরিচালক আমাদের সঙ্গে বসে চলমান আন্দোলনের একটি সমাধান করতে চাচ্ছেন, আমরা আলোচনায় রাজি আছি। তবে কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলবে। আমরা ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সেখানে যাব।
নিপেন পাল আরও বলেন, আমাদের শ্রমিকরা কী কঠিন অবস্থায় আছে, সেটি সরকার ও মালিক পক্ষকে অবশ্যই দেখতে হবে। চা–বাগানের শ্রমিকদের খাদ্যের অভাব, ভালো চিকিৎসার অভাব, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অভাব। ঘরে ঘরে শ্রমিকদের কষ্ট। আমরা এর একটি ভালো সমাধান চাই। কিন্তু দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে নামব।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মো: জহিরুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন: