ডেস্ক রিপোর্টার: পণ্য রফতানির বহুমুখীকরণ ও সক্ষমতা বাড়াতে দেশের সব শিল্পকে সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন । তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হলে রফতানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘এক্সপোর্ট চ্যালেঞ্জেস অব বাংলাদেশ আফটার গ্র্যাজুয়েশন ফ্রম এলডিসি স্ট্যাটাস: অপশনস ফর দ্য প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে জসিম উদ্দিন এ আহ্বান জানান।
এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হলে রফতানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে মন্তব্য করে জসিম উদ্দিন বলেন, রফতানি খাতকে সমৃদ্ধ করতে হলে সব শিল্পকে সমান সুবিধা দেওয়া দরকার।
এ ছাড়া শিল্প স্থাপনের জন্য স্থায়ী নিবন্ধন এবং জমি, পরিবেশ, ইমারত, আগুন ও কর সনদের ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সেগুলো হচ্ছে, শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা না থাকা, রফতানিতে ভার্তুকি দেওয়া যাবে না এবং ট্রিপসের আওতাভুক্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।এতে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে কানাডায় সাড়ে ১৬ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১১ শতাংশ, জাপানে ৯ শতাংশ ও কোরিয়ায় সাড়ে ১২ শতাংশ হারে শুল্ক গুনতে হবে।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন দরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তা আগামী বাজেট থেকেই শুরু করা দরকার।
এর জন্য কিছু ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমানোর উদ্যোগ আগামী বাজেট থেকে শুরু করা এবং বাজেটে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনভিত্তিক একটি কৌশলপত্র থাকা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
তবে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের হাতে ৪ বছর সময় রয়েছে, যা মোটেও কম সময় নয়।
এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আরও অন্তত ছয় বছর যেন শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত থাকে, এর জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে দর-কষাকষি চলছে।
দীর্ঘমেয়াদে রফতানি ও বাণিজ্য সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডার) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: