
নিউজ ডেস্ক: ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঈশ্বরদী। গত কয়েকদিন ধরেই বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী রেকর্ডের খবর নিশ্চিত করেছেন। এটাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা যেতে পারে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। পাঁচ বছর ধরে এখানে কর্মরত রয়েছি। এরমধ্যে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায়নি।
প্রখর খাঁ খাঁ রোদ দিনের বেলায় আগুনের মতো হল্কা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় রাস্তাঘাট-হাটবাজার এমনকি ঈদ বাজারেও লোক সমাগম কম। ঈশ্বরদীতে ১৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বিরাজমান থাকায় গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পিচঢালা সড়ক তেতে উঠেছে। ঘরের বাইরে বের হলেই রোদের প্রখরতায় যেন শরীর পুড়ে যাচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরেও স্বস্তি নেই। লোডশেডিং জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে নদী, পুকুর ও সেচের গভীর নলকূপের পানিতে গোসল করে শিশু-কিশোররাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্বস্তি অনুভব করছেন।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শীতপ্রধান এলাকার বিদেশি নাগরিকেরা। তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই তাঁরা দিনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিদেশিদের কর্মস্থল ও আবাসিক এলাকার বাইরে ঘোরাফেরা করতে এখন খুব কম দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিনে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত বিদেশিদের আবাসিক গ্রিনসিটি এলাকায় এখন ভিন্ন চিত্র। যেখানে শত শত বিদেশি নাগরিকের পদচারণয় মুখর থাকে তা জনমানবশূন্য। গ্রিনসিটির আশেপাশের দোকানগুলোও বন্ধ। প্রকল্পের শ্রমিকরা জানান, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। তীব্র তাপের মাঝেই কাজ করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা নিজেরা তাপ সইতে কিছুটা অভ্যস্ত হলেও বিপদে পড়েছেন প্রকল্পে নিয়োজিত রুশসহ অন্যান্য বিদেশী নাগরিকেরা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: