নিউজ ডেস্ক: দেশের উত্তরাঞ্চলের বাস ছেড়ে যায় মূলত রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে। শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হলেও আজ দুপুরের পর থেকে টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকেই অভিযোগ করেন তাঁদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। এখন ভাড়া নিয়ে কিছু বাস পরিচালনা করা হচ্ছে। সেসব বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া আজকে নিয়মিত বাসে অল্প কিছু আসন ফাঁকা আছে, সেগুলোও কিছুটা বাড়তি দাম রাখছে।
নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন আবু হানজালা ও মো. সাব্বির হোসেন। জয়পুরহাটে বাড়ি। বেলা ১টার দিকে গাবতলীর শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে আসেন তাঁরা। এরপর জয়পুরহাটের দুটি টিকিট কাটেন দুই হাজার টাকা দিয়ে। আবু হানজালা বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। উপায় না থাকায় কিনলাম।’
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে সাঁটানো ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, গাবতলী থেকে জয়পুরহাটের দূরত্ব ২৪৭ কিলোমিটার। এই দূরত্বে টোলসহ আদায়যোগ্য ভাড়া ৭১২ টাকা। অর্থাৎ শ্যামলী পরিবহনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৮৮ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. জাহিদ বলেন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শ্যামলী পরিবহনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে আছে। মালিকপক্ষ বাস ভাড়া করে বাড়তি যাত্রীর চাহিদা মেটাচ্ছে। সেগুলো যেহেতু ভাড়া করা বাস, নিয়মিত চলে না, তাই একটু বাড়তি দাম ধরা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: