মো: জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার মৌলভীবাজার : সিলেট বিভাগের চা বাগানের মে দিবসের সমাবেশ শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মে দিবসের সমাবেশে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আগামি নির্বাচনের প্রার্থীতা ঘোষনা করা হয়েছে।
সোমবার (১ মে) দুপুরে উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের নাট মন্দিরে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চা শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকরা সমাবেশ স্থলে এসে যোগ দেন। হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।
সকাল সাড়ে ১১ টায় ভাড়াউড়া চা বাগান থেকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে র্যালী বের হয় র্যালীটি শহর প্রদক্ষিন করে র্যালীটি আবার ভাড়াউড়া চা বাগানে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।
এসময় শ্রীমঙ্গল চৌহুমনায় চত্বরে সংক্ষিপ্ত স্বাগত বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালী সভাপতি বিজয় হাজরা তিনি এসময় বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই নির্বাচন করে আসছি, দু:খের বিষয় আমরা তিন মাস আগে শ্রম দপ্তর কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়েছি, বড় একটা নির্বাচন সরকারের মাধ্যমে হউক আমরা চাই। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরন করে চিঠি দিয়েছি শ্রম মন্তণালয়কে, কিন্ত আমাদের কে ঘুরানো হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কয়েক মাস আগে আমাদের শ্রমিক দের বকেয়া ১১ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা নিদের্শ দেওয়ার কথা থাকলে চা বাগান মালিক পক্ষ এখনোও সেই টাকা পরিশোধ করেনি।
ভাড়াউড়া চা বাগানে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় চা শ্রমিকদের মে দিবসের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল এর সভাপতিত্বে এসময় সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলে অলিলা গ্রুপে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সভাপতি আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদ, মোহাম্মদ জিল্লুল রহমান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি উপ-পরিচালক, বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার মো: নাহিদুল ইসলাম,
উপমহাপরিদর্শক কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার, মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জিল্লুল রহমান বক্তব্যে বলেন, চা শ্রমিকদের দু:খ কষ্টের কাটানো দিন গুলির কথা প্রধানমন্ত্রী কে জানাবো। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আগামি নির্বাচনের তহবিলে ফাউন্ডে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষনা করেন। চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার তাদের বকেয়া মজুড়ি দিতে কাজ করবেন বলে জানান।
চা বাগানের নারী নেত্রী খায়রুন আক্তার বলেন, আপনারে জানেন আমরা ৩ শত টাকার মজুড়ির দাবীতে কয়েক মাস আগে না খেয়ে আমরা বেতন মজুড়ি বৃদ্ধির দাবীতে আন্দোলন করেছি, কিন্ত প্রধানমন্ত্রী এসে ১৭০ টাকা মজুড়ি করে দিলো এই ১৭০ মজুড়িতে কিছুই হয় না। আমাদের বেতন মজুড়ি বৃদ্ধি করা হয়নি, সরকার থেকে ঘোষণা করেছে বকেয়া ৩০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করার কথা থাকলে পরে বলা হয়েছে ১১ হাজার টাকা গত দূর্গাপূজোর আগে দেওয়ার কথা থাকলেও আজও দেওয়া হয়নি।
এছাড়া আমরা জানতাম এত বছর ধরে চা বাগান থেকে আমাদের বাসস্থান বাবদ বাড়ি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এটি আগে কখনও শোনেনি। চা বাগান নারী শ্রমিকদের গর্ভকালীন ছুটি নেই বল্লেও চলে। নারী শ্রমিকরা মেন্স নিয়ে চা বাগান কাজ করতে হয়। তাদের জন্য প্যাড নেই এমন কি বৃষ্টিতে ভিজে রেইন না পড়ে কাজ করতে হয়। আজকে দু:খের সাথে কথাগুলি বলতে হচ্ছে আমরা মালিক পক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি মানি না মানবো না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: