
ডেস্ক রিপোর্টার: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী'র অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাজির হয়েছেন।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে নেওয়া হয়। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে একাডেমির বিপুল অর্থ আত্মসাৎসহ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তা যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) শিল্পকলার ডিজিকে দুদক এসে বক্তব্য জানাতে নোটিশ পাঠানো হয়। একই দিন শিল্পকলার বিগত দুই অর্থবছরের বাজেট, ব্যয় এবং ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের নথিপত্র চেয়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কাছে নোটিশ পাঠায় দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হন। সেদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন শিল্পকলার ডিজি।
৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৬ কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করেন লাকী। পরস্পর যোগসাজশে এই অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ডান্স এগেইনস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক ক্রয়, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ দেন তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: