
নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুর সড়কপথে শুরু হয়েছে পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং) । বুধবার (১০ নভেম্বর) সকালে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেখাশোনা করার জন্য সেখানে গিয়েছেন।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানায়, পিচ ঢালাইয়ের কাজ আরও আগে শুরুর পরিকল্পনা ছিল সংশ্লিষ্টদের। এ জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে যায় এ কার্যক্রম।
সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, পিচ ঢালাই শুরুর প্রস্তুতি আমরা আগেই নিয়েছি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা শুরু করতে পারব বলে আশা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা শুরু করা যাচ্ছে।
গত ১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানিনিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা 'ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন' নামে অভিহিত করছেন।
সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে কার্পেটিং। পদ্মা সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী করতে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সড়কপথের শেয়ার পকেটের কাজ শেষ হয়েছে। চার লেন সেতুর মাঝখানে ডিভাইডার চার কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সড়কপথের ৫ হাজার ৮৩৪ শেয়ার পকেটই সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর পুরোটা দৃশ্যমান হয়। এর ফলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরাকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু।
এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা আছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর প্রকল্প নেওয়া হয়। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৫ সালে। এরপর তিনবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: