নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় খুলনায় ১১৬টি মেডিক্যাল টিম ও ৫ হাজার ২৮০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ৫৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনার উপকূলীয় এলাকার মানুষকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে হবে। দুর্যোগকালে টেলিফোন, বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে।
সভায় জানানো হয়, সিত্রাং মোকাবিলায় জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতলায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক-নার্স ও ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগকালীন সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য পাঁচ হাজার ২৮০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া স্যালাইন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটির মাধ্যমে চার হাজার মানুষকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা সম্ভব।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমান খানসহ সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: