নিউজ ডেস্ক : এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের এক হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থীর। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদনের সুযোগ থাকলেও আবেদনে কম সংখ্যক কলেজ নির্ধারণ করায় এসব শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি বলে মনে করছেন ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এবার ২৮১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে। এসব কলেজে মোট আসন সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ৭১৭টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ১৯৫টি। সে হিসেবে একাদশে ভর্তিতে থাকছে না আসন সংকট।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলেন, সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদনের সুযোগ থাকলেও জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী ৫-৬টির বেশি কলেজ পছন্দের তালিকায় দেয়নি। জিপিএ-৫ পাওয়ায় কম সংখ্যক কলেজে আবেদন করলেই হবে বলে ধারণা ছিল তাদের। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করেছে সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বরপ্রাপ্ত আবেদনকারীর সংখ্যা হয়তো বেশি ছিল। যার কারণে আবেদন করা কলেজগুলোর একটিতেও তাদের সুযোগ হয়নি।
প্রফেসর জাহেদুল হক আরও বলেন, দশটি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হতো না। আবেদন চলাকালীন সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি আমরাও বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই তা করেনি।
২০২২ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায় ১৮ হাজার ৬৮৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি। জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ১৮ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৮ হাজার ৪৮৬ জন। ১৬ হাজার ৮১৯ জন প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়। তবে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ের তালিকায় কলেজ পায়নি এক হাজার ৬৬৭ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করে এক লাখ ৩২ হাজার ১৯৫ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয় এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৮ জন। সে হিসেবে আবেদন করেও প্রথম তালিকায় কলেজ পায়নি আরো ১৩ হাজার ৮৩৭ শিক্ষার্থী। প্রথম তালিকায় কলেজ না পাওয়ায় ভর্তির জন্য মনোনয়ন পেতে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীকে। ঐদিন ভর্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। এর আগে ৯ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় পুনরায় আবেদন করতে হবে এসব শিক্ষার্থীকে। তবে এ দফায় তাদের আর আবেদন ফি দিতে হবে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: