আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কার্যালয়ে অর্থ পাচার মামলায় টানা তৃতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইডি সদর দফতরে পৌঁছান তিনি।
রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দাবি করে ইডি এবং কংগ্রেস কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভে অংশ নেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, ভুপেশ ভাগেল ও পবন খেরার মতো শীর্ষ নেতারা। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকে আটকও করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকর্মীকে টেনে-হিঁচড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে তুলতে দেখা যায়। এর আগে মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীকে টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সোমবার প্রথম দফায় ইডির মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী। টানা ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি। এ ঘটনায় সোমবারও দিল্লিসহ ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। রাহুল বাদে সোনিয়া গান্ধীকেও তলব করেছিল ইডি। তবে, ৭৫ বছর বয়সী সোনিয়া করোনা জটিলতায় হাসপাতালে থাকায় আগামী ২৩ জুন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে ইডি।
নয় বছর আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন পার্লামেন্ট সদস্য রাহুল ও তার মা কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন তারা। এটি ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলা নামে পরিচিত।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা নেই। ইডি একসময় মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আবার রাজনৈতিক কারণে চালু করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: