
কালিয়াকৈর প্রতিনিধি, গাজীপুর: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এবং ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এটির উদ্বোধন করা হয়। পার্কে রয়েছে প্রকৃতি দৃশ্য, বিভিন্ন জীবজন্তু। প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে নানা মানুষ এখানে আসে ঘুরতে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে এটির অবস্থান। এ পার্কে সকাল-বিকেল পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ঘুরতে পারে। তারপরও কেউ চাইলে পার্কে থাকতে পারবে। রাত্রিযাপনের জন্য পার্কে রয়েছে বিশ্রামাগার ।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান ফটকের আগেই কয়েকটি রেস্তোরাঁ আছে যা খাওয়া দাওয়া করার জন্য উপযোগী । পর্যটন স্পট বিধায় সব কিছুর দাম একটু বেশি থাকে। পার্কের ভিতরে রয়েছে বাঘ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরা ও সিংহ পর্যবেক্ষন রেস্তোরা। সেখানেও খাওয়া দাওয়া করতে পারেন পাশাপাশি রেস্তোরাঁ বসেই বাঘ, সিংহ দেখা যায়। শিক্ষা সফর বা পিকনিকের জন্য এটি একটি উপযুক্ত জায়গা। কিছু স্পট আছে যেটা পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
এখানে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু রয়েছে। যেমন জলহস্তী, বাঘ, সিংহ, হাতি, সাম্বার, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, বানর, হনুমান, ভল্লুক, গয়াল, কুমির ও বিচিত্র পাখী। এই পার্ক জুড়ে রয়েছে নানা দর্শনীয় পশু-পাখি ও ভাঙ্কর্য। পার্কের প্রথমে ঢুকেই হাতের ডানে পুরো পার্কের মানচিত্র পাওয়া যাবে। যা দেখে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে কোথায় কোথায় যাবেন বাহ্ কোথায় কি রয়েছে।
শিশুকিশোরদের আনন্দদায়ক একটি পার্ক। প্রতিবছরের বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটি থেকে এখানে বনভোজনে আসে। সাগর নামে এক দর্শনার্থী জানান, এখানে আমি মাঝে মাঝে আসি। পরিবারকে নিয়ে আজও আসছি বাচ্চারা অনেক মজা করছে এবং খুব ভালো লাগে পার্কটি।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। বন্ধের দিন এখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / ইয়ামিন হোসেন পাটোয়ারী/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: