• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাকেরগঞ্জের খয়রাবাদ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩৬ এএম
বাকেরগঞ্জের
খয়রাবাদ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন 

মো. জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জের, খয়রাবাদ নদীর (কাটাখালী) তে সরকারি ইজারাবিহীন ভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। 

বাকেরগঞ্জের খয়রাবাদ নদীতে (কাটাখালি) ইজারাবিহীন অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন কিছু প্রভাবশালি,অসাদু ও কুচক্রিমহাল।

অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সময় সাংবাদিকগনরা, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে  গেলে উক্ত ঘটনার সত‍্যতার প্রমান পেয়ে বাকেরগঞ্জের স্হানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হইলে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্দে আইনগত ব‍্যবস্হা নেয়ার কথা বলে তার কোন প্রতিকার মিলেনি। উক্ত উল্লেখিত স্হানে প্রতিনিয়ত চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। কিছু প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে কয়েকজন ড্রেজার মালিক অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করছে।

এতে বাঁধ, ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিরমুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্হা নেয়ার জন‍্য জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এসব ড্রেজার ব্যবসায়ীরা বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের কাটাখালিতে  ৭-৮টি  ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তুলছেন। এতে নদীর তীরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোন সময় বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ ও নদীর পাড় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালী ও বালু ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও বালু কাটা অব্যাহত রয়েছে। 

সুএে জানা যায়,  ইজারা না থাকা সত্বেও অবৈধভাবে বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফুট প্রতি ১ টাকা ৪০ পয়সা করে উত্তোলন করছেন প্রভাবশালীরা,সারা দিনরাত বালু তোলার কারণে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেও তার কোন প্রতিকার মেলেনি। মাঝে মাঝে প্রশাসন থেকে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দু'চার জন ড্রেজার শ্রমিকে কারাদণ্ড দিলেও কয়েকদিন পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে  আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে গারুড়িয়া ইউনিয়নের  কাটাখালী নদীর পাশের ফসলি জমি, ভিটে ও বাড়িঘর ধসে নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী যখন যেখানে খুশি নদীর সেখান থেকেই বালু উঠাচ্ছে। এর ফলে তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাধিকবার স্থানান্তর করার পর সেগুলো এখনও হুমকির মুখে রয়েছে। একইভাবে ভাঙনের কারণে কয়েক দফা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অনেকে। এলাকাবাসী মনে করছেন, অপরিকল্পিতভাবে  বালু উত্তোলন করা বন্ধ হলে হয়তো ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কমবে।

এ প্রসঙ্গে বালু উত্তোলনকারী আনলোড ড্রেজারের শ্রমিকরা জানান, গারুড়িয়া ইউনিয়নের কাটাখালী নদী থেকে ড্রেজার লোড দিয়ে নিয়ে আসলে, তারা আনলোড ড্রেজার দিয়ে বালু ফালান। ওই স্পটের ইজারা আছে কিনা তা তাহারা জানেন না।

অভিযুক্তদের নাম ও পরিচয়, গোপনে তথ‍্য সংগ্রহ করে তাহাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব‍্যবস্হা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছেন স্হানীয় ভুক্তভোগীরা এবং তথ‍্য সূত্রে জানাযায় সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৩০ মিনিটের সময় হইতে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পযর্ন্ত ড্রেজার মিশিন দ্বারা অসাদু ব‍্যাক্তিগনরা প্রতিদিন রাতের আধারে চুরি করে  অবৈধভাবে ইজারাবিহীন বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে,এবং যেকোন সরকারি বন্ধের দিনও তাহারা দিনের বেলায় বালু উঠান। ভুক্তভোগীরা আরও জানান,  আমরা স্হানীয় প্রশাসনকে ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনদের জানালে, তারা বলেন  আমরা অপরাধী ও অসাদু ব‍্যাক্তিগনদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব‍্যবস্হা নিব, তাহারা প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব‍্যাবস্হা নেয়ার কথা বলে  ঘটনা স্হানে আসেন না,এবং কাউকে পাঠায়ওনি। এব‍্যাপারে স্হানীয় প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই বলে তাহারা জানান।

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০নং গারুড়িয়া ইউনিয়নের কাটাখালী সংলগ্ন খয়রাবাদ নদী থেকে, দৈনিক রাতের আধারে ও সরকারি বন্ধের দিন, ড্রেজার মেশিন দ্বারা সরকারের সম্পাদ নদীর বালু অবৈধভাবে চুরি করে উত্তোলন করে যাচ্ছে,সে ব‍্যাপারে স্হানীয় প্রশাসনের কোন টনক নড়ছে না।

এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল কে জানালে তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

স্হানীয় ভুক্তভোগীরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের ও বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব‍্যবস্হা নেয়ার জন‍্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানাচ্ছেন

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image