• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বামপন্থীদের হরতাল প্রসঙ্গে কিছু জরুরি কথা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৫৫ পিএম
বাজার নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত সেই অঙ্ক বাড়তেই থাকবে
আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছে

ইমাম গাজ্জালী

খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বামপন্থীদের ডাকে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ হরতাল পালিত হল। দুই দফা করোনা মহামারির থাবায় বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছে। টিকতে না পেরে বহু মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়ি পাড়ি জমিয়েছে। সঞ্চয় ভেঙেছে মধ্যবিত্ত। আরো নিঃস্ব ও ঋণগ্রস্থ হয়েছে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবীরা। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও সুতোয়। গত ৯ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের বাড়তি দাম নিয়ে ১৫ দিনে আনুমানিক প্রায় ১০০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, Ôপ্রতিদিন যদি ৫০০০ টন ভোজ্য তেলে চাহিদা থাকে, তাতে লিটারে ১০ টাকা করে বাড়লে মোট অঙ্কটা অনেক বড় হয়। এভাবে আনুমানিক একটা পরিসংখ্যান আমরা দিয়েছি।

এতদিনে সেই টাকা লোপাটের অঙ্কটা আরও বেড়ে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত সেই অঙ্ক বাড়তেই থাকবে। যদিও সেটি ৫ হাজার কোটি টাকা না হয়ে যায় সেই লক্ষ্যেই নাকি কাজ করছে অধিদপ্তর। (দৈনিক বণিক বার্তা, ৯ মার্চ)।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়ে গত ৬ মার্চ সাংবাদিকদের বলেন, Ôবৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ছে। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলে ৩৫ টাকা এবং পাম তেলে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সিনিয়র সচিব জানান, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮ টাকা বেড়ে ১৬৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বেড়ে ১৪৩ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের ৫ লিটারের দাম ৩৫ টাকা বেড়ে ৭৯৫ ও পাম তেলের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দাম ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, সয়াবিন মিলার, আমদানিকারক কোম্পানি এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা মিলে তেল মজুদ করে রাখার কারণেই মূলত খুচরা পর্যায়ে তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বিবিসিকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে, ফলে দেশেও বাড়বে এই আশায় অনেক ব্যবসায়ী তেল বাজারে ছাড়ছেন না। সে কারণেই এই কৃত্রিম সংকট। তিনি বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম বেড়েছে বা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এসবের জন্য দাম বাড়লে তার প্রভাব দেশের বাজারে আরো দুইমাস পরে পড়বে। কিন্তু এখন তেল নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তেল নিয়ে তেলেসমাতি হচ্ছে। এজন্য এটা (অভিযান) আমরা কন্টিনিউ করবো।’

সফিকুজ্জামান বলেছেন, Ôএখানে পণ্যের কোন ঘাটতি নেই। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে এটা ম্যানিপুলেট করা হচ্ছে। অর্থাৎ সাপ্লাই চেইনে তারা কিছুটা কনজারভেটিভ হয়ে গেছে যে তারা সাপ্লাইটা ঠিকভাবে দিচ্ছে না। তাতে বাজারে চাহিদা ও সরবারহের ক্ষেত্রে একটা আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছে।’

সূত্র : বিবিসি বাংলা

এটা তো গেল শুধু ভোজ্য তেলের অংক। এছাড়া প্রায় সকল ধরণের নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। সেখান থেকেও চলেছে ব্যাপক লুটতরাজ। বর্তমানে এই লোপাটের হাজার কোটির ঘর ছেড়ে লাখ কোটির ঘরে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এসবই হচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। অর্থাৎ মানুষ যখন দুর্দশায় পড়ে, লুটেরা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর তখন পোয়াবারো। মানুষকে বাঁচানোর বদলে, শোষণ ও লুটপাটের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। আর সরকার মানুষকে রক্ষার বদলে সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। শুধু তাই নয়, সরকারের মন্ত্রী এমপিরাই সেই সিন্ডিকেটের স্বার্থরক্ষক ও অংশিদার। খোদ খাদ্যমন্ত্রীই একজন বৃহৎ চাল ব্যবসায়ী। মানুষের দুর্দশা নিয়ে মন্ত্রীরা যে মন্তব্য করে, সেটা নিষ্ঠুর রসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।

ঠিক এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবিতে হরতালের ডাক দেয় গণতান্ত্রিক বাম জোট। তাকে সমর্থন দেয় ৯টি সংগঠন সহ বিভিন্ন বামপন্থী কমিউনিস্ট দল গ্রুপ ও সংগঠন।

এই হরতাল এবং খাদ্যমূল্য নিয়ে কিছু কথা : খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির ঘটনা দেশে প্রথম নয়। একটু ছুতা পেলেই খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এক এগারোর সরকার থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ধাপে ধাপে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যেও দাম বাড়িয়ে মানুষের পেট নিংড়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করার ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিবারই সরকার ও তাদের তাবেদার বুদ্ধিজীবীরা হয় নীরব থাকে নয়তো নানা কথার মারপ্যাচে এসব অপকর্মকে জায়েজ করে দেয়। এভাবেই মানুষের দুর্দশা বাড়তেই থাকে।

এবারও ফের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ হা পিত্যেশ ছোটাছুটি করে, একেকজন একার্ধিক চাকুরি করে, অবসর সময়ে উপার্জ্জনের নানা কৌশল বের করে বাড়তি আয় করে, এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে, কমপুষ্ঠির খাবার খেয়ে, কোনো রকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে টিকে থাকে। ঘুমানোর সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময় শুধু খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য দৌড়ের ওপর থাকেন শ্রমজীবীরা, এভাবেই যন্ত্রে পরিণত হয়ে, জীবনী শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে, কোনো রকমে টিকে থাকতে পারছেন। তারপরেও মাস শেষে বাড়ছে তাদের ধারদেনার পরিমাণ। আর পরিণতিতে ধাবিত হচ্ছেন মৃত্যুর দিকে।

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? : খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মত একই সমান্তরাল চিত্র পাওয়া যাবে শিক্ষা স্বাস্থ্য ও গণপরিবহণের মত অতি জরুরি খাতের বেলায়। সত্যকার অর্থে শিক্ষা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম দুর্নীতি অব্যবস্থাপনার চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এই খাতটিও ভেঙে পড়েছে। আর গণপরিবহণ মানে হলো নিত্য দুর্ভোগের প্রতিশব্দ।

আমাদের মতে, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও গণপরিবহণ ব্যবসায় ন্যূনতম নৈতিকতার বাধ্যবাধকতা থাকা দরকার, যা দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীদের অভিধানে নেই। যেটা ছাড়া একটি জাতির বিনাশ ঘটানোর প্রক্রিয়া থামানো যায় না। ইতোমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া অনেক গভীরে চলে গেছে। এখনি থামাতে না পারলে, সময় গেলে আর সাধন হবে না। এজন্য যে সকল দাবি উঠেছে, যেমন সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়িদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের আওতায় আনা, পুলিশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র মত শ্রমজীবীদের রেশনের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। যেহেতু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা এ ধরণের অতি জরুরি ব্যবসায় ন্যূনতম নীতি নৈতিকার ধার ধারে না। তারা দুর্বৃত্ত চরিত্রের অধিকারী। তারা এসব জরুরি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারে না। তার বদলে শুধু মুনাফা ও ব্যাপক লুটতরাজের ধান্ধায় থাকে। তাই বৃহৎ খাদ্য ব্যবসা জাতীয়করণ করার পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবসা, স্বাস্থ্য ব্যবসা জাতীয়করণ করার দাবি তোলা দরকার।

বামপন্থীদের হরতাল ও আন্দোলন প্রসঙ্গে : রব জাসদ সহ কয়েকটি দলের জোট নিয়ে (১৯৯৬-২০০১) ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখনও বিরোধীদের ওপর ছিল ব্যাপক দমনপীড়ন। তাদের আন্দোলনের মাঠে নামতেই দিচ্ছিলো না আওয়ামী সরকার। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা করে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী। এর প্রতিবাদে ওই বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে হরতাল ডাকে তখনকার ১১ দল। ওই হরতালে মানুষের সমর্থন ও সিমপ্যাথি ছিল ব্যাপক। শক্তি সামর্থ তেমন জোরালো না থাকলেও, শুধু মানুষের সিমপ্যাথি ও সমর্থনের কারণে আর নেতাকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই হরতাল সফল হয়েছিল। এতে আন্দোলন করার একটি স্পেস তৈরি হয়। যেহেতু ১১ দলের ছিল শুধু বোমা হামলার প্রতিবাদ, আর সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই সেই হরতালের মাধ্যমে তৈরি হওয়া স্পেসটি ব্যবহার করে বিএনপি। এই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া দরকার।

এবারও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট হরতালের ডাক দিয়েছে। সেখানে সমর্থন দিয়েছে ৯টি সংগঠন নামে বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের একটি জোটসহ আরো কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠন ব্যক্তি ও জোট। ১১ দলের ওই হরতালের ঠিক ২২ বছর পর ২০২২ সালের ২৮ মার্চ আবারও বামপন্থীদের এই হরতালে মানুষের সিমপ্যাথি লক্ষ্য করা গেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা চাঙ্গাভাব ছিল। এই হরতালেও মানুষের সমর্থন ছিল এবং এবারও আন্দোলনের একটি স্পেস তৈরি হয়ে গেছে। বল এখন বামপন্থীদের কোর্টে। এখন তারা কী করবেন, সেটা দেখার বিষয়।

নিজেরা সাবালক না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে ডিস্টার্ব করা যাবে না, এমন কৌশলও নিতে পারেন। সরকারের নানা অপকর্মের প্রতিক্রিয়া জানাতে গতানুগতিক মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যেও নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন।

অপরদিকে, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় জানাতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন। আগেই বলেছি, বল এখন বামপন্থীদের কোর্টে। তারা কী করবেন, তারাই সেটা ভালো জানেন। যদি প্রথম কৌশলটি বেছে নেন তো মন্দ না। সরকারের উচ্ছিষ্ট খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামা, মন্দ কি? সেক্ষেত্রে গাছের ওপরেরটাও খাওয়া যাবে, আবার নীচেরটাও কুড়ানো যাবে। মানে আন্দোলন আন্দোলন খেলাও যাবে, আবার সরকারের কাছে যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সেটাও আর ঝুঁকিতে পরবে না। তবে এক্ষেত্রে হরতালের তৈরি স্পেসটি খালি থাকবে না, কেউ না কেউ দখল করবেই, এটা বিজ্ঞান তথা সমাজবিজ্ঞানেরও নিয়ম।

অপরদিকে, যদি দ্বিতীয় কৌশল গ্রহণ করা হয়, অর্থাৎ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় জানাতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজেদের তৈরি করা মাঠে মেহনতি শ্রেণির রাজনীতি এগিয়ে নেওয়ার চমৎকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। নিজেদের তৈরি রাজনৈতিক স্পেসে আর কোনো অপশক্তিকে আনার সুযোগ বন্ধ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গণমানুষের নতুন ইতিহাস তৈরির নতুন জ্বালামুখ বের হতে পারে, শত বছরের আরোধ্য কাজ সত্যসত্যই বাস্তবে রূপ নিতে পারে। সত্যসত্যই ধরা দিতে পারে মেহনতিদের রাষ্ট্র সরকার ও সংবিধান সৃষ্টির সুযোগ। সত্যসত্যই যদি বামপন্থী কমিউনিস্টরা শেষোক্ত পথটি গ্রহণ করেন, তখন সেই রাজনৈতিক আন্দোলনর স্বরূপটা কি হবে? সে আলোচনা তখনই করা যাবে।

লেখক ও সাংবাদিক

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image