পল্লবী প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ এলাকায় শেখ কামাল স্কুলের সামনে প্রতিদিন বসে জমজমাট চোরাই মোবাইল বাজার। দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে চোরাই মোবাইল বেচা-কেনা হলেও, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেই দায়িত্ব শেষ করে। অভিযোগ রয়েছে এর বিনিময়ে তারা পায় বড় অংকের টাকা। যার কারণে সম্প্রতি কয়েকজনকে গ্রেফতার করলে, কর্মবিরতি পালন করে চোরাই মোবাইল বিক্রেতারা। তারা জানায়, প্রশাসন টাকাও নেয়, আবার অভিযানও চালায়, এ কেমন অন্যায়! পরবর্তীতে দফরফার মাধ্যমে আবার শুরু হয়েছে চোরাই মোবাইল বিক্রি।
এই চোরাই মোবাইল বিক্রির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় ১ ডজন মামলার আসামী বিল্লাল। বিল্লালের রয়েছে কয়েক ডজন চোর ও ছিনতাইকারী। তাদের মাধ্যমে পাওয়া মোবাইল বিক্রি হয় এই চোরাই মোবাইল মার্কেটে।
নেশাগ্রস্ত বিল্লালের প্রতিদিন মদ ও ইয়াবার পিছনেই খরচ হয় ১০ হাজার টাকার বেশী। রিহ্যাব থেকে ফিরে আবারও নেশার জগতে জড়িয়ে গেছে বিল্লাল। তার সকল অপকর্মের গডফাদার বাহাদুর নামে তার এক মামা। সেই বিল্লালের হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তদবীর করে।
অভিযোগ রয়েছে বিল্লাল বাচ্চাদের প্যাম্পার্সের মাধ্যমে ইয়াবা আদান প্রদান করে। অবৈধ টাকায় হঠাৎ ধনী হওয়া বিল্লালের রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। কেউ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ।
এই বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে বিল্লাল বলে, ছোট ভাই হিসেবে ছোট খাট ক্রাইম গুলো দিকে তাকানো আপনার উচিত হবে না। যদিও বিল্লাল দাবী করে সে মাদক গ্রহণ করলেও, মাদক ব্যবসা সে করে না। চোরাই মোবাইল মার্কেট সম্পর্কে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এই সকল সিন্ডিকেটকে আটক করছি। কিন্তু, তারা জাবিনে বের হয়ে আবার একই অপকর্মে যুক্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / আবদুল হাকিম/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: