
নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ছে তেলের দাম। রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের জন্য বিকল্প উৎস খুঁজছে দেশটি।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ আয়োজনের চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউজের সে চেষ্টা সফল হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি আরব নেতারা। বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে আরব নেতাদের অপারগতার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য সমর্থন এবং তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যখন আন্তর্জাতিক সমর্থন তৈরিতে কাজ করছেন তখন এই খবর সামনে এসেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান উভয় বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা জানান।
সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছে, ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরও সাহায্য চায় সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এছাড়া রিয়াদের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সাহায্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তার পাশাপাশি আইনি দায়মুক্তি চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
২০১৮ সালে কলাম লেখক ও সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাসহ মোহাম্মদ বিন সালমানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় সৌদি আরবের কঠোর সমালোচনা করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। এজন্য সৌদিকে মূল্য চোকাতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে রিয়াদের মিত্র হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি আমিরাতে একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সংযত প্রতিক্রিয়ায় সৌদির মতো আমিরাতও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। হোয়াইট হাউজের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে বাইডেনের সঙ্গে দুই আরব নেতার কথা বলতে অনীহার এটাই বড় কারণ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: