
নিউজ ডেস্ক: ঢাকাকে সু-পরিকল্পিত নগরায়নের পাশাপাশি নগরিকদের মৌলিক চাহিদা, আবাসন সমস্যা সমাধানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে “রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।” সোনারগাঁও হোটেলে রিহ্যাব অবকাঠামো নির্মাণে রাজউক এর পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন গ্রহনের বিধানের প্রতিবাদে” এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) রিহ্যাবের নানা দিক তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। রিহ্যাব সদস্যদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে ঝুকিমুক্ত, পরিবেশবান্ধব একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে রিহ্যাব সদস্যরা।
শহরমুখি মানুষের জীবন ও জিবীকার প্রয়োজন মেটাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে রিহ্যাবের প্রায় নয়শত সদস্য ডেভেলপার তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে যাচ্ছে । জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তাবায়নে বাংলাদেশ এখন স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন শোষণমুক্ত অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী সার্বভৌম রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রে প্রতিটি মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে অন্ন-বস্ত্র-বাসসবহানের মতো মৌলিক সুযোগ সুবিধা।
দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের রায় নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন যারা ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে চলেছে বলে জানান রিহ্যাব সভাপতি শামসুল আলামিন।
রিহ্যাবের বিপুল কার্যক্রমে গত কয়েক দশকে সহজে আবাসনের মালিকানা সৃষ্টি মানুষের মনে আত্মনির্ভরতা সৃষ্টি করেছে। আগে কিছু নাগরিকের হাতে বাসা বাড়ীর নিয়ন্ত্রীণ ছিল। এখন অনেকেই তাদের নিজস্ব ফ্ল্যাটের মালিক। এছাড়া সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্হান, রড, সিমেন্ট টাইলসসহ ২৬৯ প্রকার লিংকেজ শিল্প প্রসারের মাধ্যমে সমগ্র নির্মাণ খাত জাতীয অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে ।
চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ভবন/অবকাঠামো নির্মাণে রাজউক এর পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন গ্রহণের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে । গত ৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার সচিবালয়ে স্হানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত সভার প্রস্তাব আকারে সিদ্ধান্ত হয়, অবকাঠামো নির্মানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এ বিষয়ে কোন পরিপত্র বা সরকারি আদেশ জারি না হলেও প্রকাশিত সংবাদের কারনে গৃহায়ন শিল্প সংশ্লিষ্ট সদস্যদের মধ্যে গভীর শংকা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বে ১০ তলার অধিক ভবন
নির্মাণে সিটি কর্পোরেশনের ছাড়পত্র গ্রহণ এর একটি বিধান প্রচলিত ছিল।
বর্তমানে রাজউক কর্তৃক প্লান পাশের প্রক্রিয়া সহজীকরনের লক্ষ্যে ১০টি সংস্হার পরিবর্তে ৩ টি সংস্হা হতে (রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল এভিয়েশন) অনুমোদন গ্রহনের সহজ প্রক্রিয়া প্রচলন করা হয়। অত্যান্ত উদ্বেগের সাথে বলেন শুধুমাত্র বহুতলা ভবনই নয় যেকোন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন গ্রহন করতে হবে। এ বিষয়ে রিহ্যাবের প্রতিবাদ রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: