বিরামপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুর বিরামপুরে অবসর সময় কাটানোর কোন প্রকার জায়গা না থাকায় রেললাইনে গড়ে উঠেছে বিনোদন পার্কের চিত্র।
৩০ জুলাই জেলার বিরামপুর পৌরসভা এলাকায় কোনো বিনোদন পার্ক ও অবসর সময় কাটানোর জায়গা না থাকায় বৈকাল হলেই রেললাইনে বেড়ে যায় মানুষের আড্ডা। সেখানে তেমনি মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে আসা মানুষের পদচারণায় মূখর চিত্র। কিন্তু তারা জানেনা যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এবিষয়ে নেই কোন তোয়াক্কা,দেদারছে চলছে প্রতিদিন এমন চিত্র।
এবিষয়ে জানা যায়,বিরামপুর শহর একটি জেলা প্রস্তাবিত শহর কিন্তু নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। ১৯৯৫ সালে বিরামপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত ও প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও নাগরিক বিনোদনের কোনো জায়গা করা হয়নি। ফলে শহরের ইট-পাথরের সান্নিধ্যে আবদ্ধ থেকে হাঁপিয়ে ওঠা লোকজন একটু মুক্ত বাতাসের জন্য বৈকাল হলেই ছুটে যায় রেললাইনে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ লাইনের উপর হেঁটে বেড়ায় এবং গল্প আড্ডায় অবসর সময় অতিবাহিত করে আসছেন। এভাবেই ব্যস্ত থাকে বিরামপুর স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে পলাশবাড়ি রেলগেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেল লাইন। এই লাইন দিয়ে বৈকাল ৬ থেকে ৮টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। এ কারণে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা।
উক্ত লাইনে ঘুরতে আসা পুরাতন বাজারের আশরাফুল ইসলাম নামের ব্যক্তি বলেন,শহরের গুমোট পরিবেশ থেকে স্বস্তির আশায় তিনি মুক্ত বাতাসে অবসর সময় কাটানোর জন্য প্রায়ই এই রেললাইনে এসে থাকেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক জানান,বিরামপুর শহর একটি প্রস্তাবিত জেলা শহর। এখানে দিনদিন মানুষের বসত বাড়িঘর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারে ছোট বড় সকলের বিনোদনের জন্য একটু খোলা মেলা পরিবেশে চলাচলের জন্য স্থায়ী পার্ক প্রয়োজন পড়ে। তাই বিরামপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের নিকট আবেদন বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় পার্কের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান। এবিষয়ে বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী জানান,পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর বিগত দিনে পৌরসভা থেকে পার্ক নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। বর্তমানে পার্ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু জানান,মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য তিনি নিজ অর্থায়নে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের সঙ্গে বিরামপুরের মির্জাপুর নামক স্থানে ৩৬ বিঘা জমির উপর একোয়া থিম পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করেছেন। এই বিনোদন কেন্দ্রটি শীঘ্রই উদ্বোধন করে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / রেজওয়ান আলী/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: