
প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জিতে গেছে বাংলাদেশ। মিশন এবার হোয়াইটওয়াশের। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ সোমবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস ভাগ্য পক্ষে এসেছে বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবালের দল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে। ব্যাটিং এ আছে লিটন দাস ও মাহমুদ্দল্লাহ রিয়াদ।
ফজলহক ফারুকি যেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে গেছেন বাংলাদেশি ব্যাটারদের। বিশেষ করে ফারুকির সামনে যেন টিকতেই পারছেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই ফারুকির কাছে পরাস্ত হয়েছেন টাইগার ওপেনার। প্রথম দুই ওয়ানডেতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হলেও সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তামিমকে বোল্ড করে মাঠছাড়া করেছেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি।
প্রথম দশ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ একটা শুরু এনে দেওয়ার পর ৪৩ রানে ভাঙে এই জুটি। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১১ রান। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ রানের বেশি যেতে পারেননি।
দুর্দান্ত ফর্মে আছেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির পর তৃতীয় ম্যাচে এসে পেলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। আজমতুল্লাহর বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের ৫০তম ওয়ানডেতে চতুর্থ অর্ধশতক পেয়ে গেলেন লিটন। ৬৩ বলে এল অর্ধশতক, চার ৬টি। এই অর্ধশতকের পথে ৩৫ রানে থাকার সময়ই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রানও হয়ে গেছে লিটনের।
দলীয় ১০৪ রানে সাকিবকে হারায় বাংলাদেশ। আজমতউল্লাহর বলে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে বোল্ড হন সাকিব। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। সাকিবের বিদায়ে ভাঙে ৬৯ বল স্থায়ী ৬১ রানের জুটি। ৩৬ বলে তিন চারে ৩০ রান করেন সাকিব।
গত ম্যাচে বড় জুটি গড়ে দলক বড় স্কোর পাইয়ে দিয়েছিল লিটন-মুশফিক জুটি। কিন্তু এবার আর জমলো না তাদের জুটি। দলীয় ১২১ রানে রশিদ খানের বলে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন মুশফিক। দ্বিতীয় ম্যাচে ২০২ রান এনে দেওয়া লিটন-মুশফিক জুটিতে এবার এল মাত্র ১৭ রান। ১৫ বলে ৭ রান করেন মুশফিক।
রশিদ খান যেন কাঁপিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশকে। মুশফিকের পর রশিদের ঘূর্ণিতে এবার পরাস্ত হলেন ইয়াসির আলী। ৪ বল খেলে ১ রান করেন ইয়াসির।
আজকের ম্যাচে জয় পেলে পাকিস্তানকে টপকে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিবে বাংলাদেশ। আর সেই সাথে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশও করা হবে। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিলো বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলো বাংলাদেশ।
সিরিজটি সুপার লিগের অংশ হওয়ায় প্রতিটি পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সিরিজ জয়ের পরও হাল ছাড়ার কোন উপায় নেই বাংলাদেশের। পয়েন্টের জন্য নিজেদের সেরা দিয়ে খেলবে টাইগাররা। ইতোমধ্যে ১০০ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
আগের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আফগানিস্তান দল একটি বদল এনেছে। ফরিদ আহমেদের জায়গায় একাদশে গুলবাদিন নাঈব।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ:
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: