• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আটকে পড়া নভোচারীদের আগামী বছর ফেরাবে স্পেসএক্স


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:১৭ পিএম
নিরাপত্তাই আমাদের মূলমন্ত্র
স্পেসএক্স মহাকাশযান

নিউজ ডেস্ক:  দুই মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে থাকা দুই নভোচারীকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে একটি স্পেসএক্স মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি উইলমোর। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) এই দুই নভোচারী গত ৫ জুন মহাকাশে যাত্রা করেন। তাদের সফরসূচি ছিল মাত্র আট দিনের। কিন্তু এখন তাদের প্রায় আট মাস মহাকাশে থাকতে হবে।

নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে করে সুনিতা ও উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) গেছেন, সেটি ‘কোনো নভোচারী ছাড়াই’ পৃথিবীতে ফিরে আসবে। সুনিতা ও উইলমোরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সময়ই স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে বেশ কিছু গোলযোগ দেখা দেয়। যেমন সেটিতে ফুটো হয়ে হিলিয়াম গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। ইঞ্জিনেও গোলযোগ দেখা দেয়।

বাণিজ্যিক মহাকাশযানে করে নভোচারীদের মহাকাশে নিয়ে যেতে বোয়িং এবং স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোটি কোটি ডলারের চুক্তি করেছে নাসা। বোয়িংয়ের সঙ্গে নাসা ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার এবং ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে। 

নাসা জানিয়েছে, উভয় নভোচারীই এর আগে দু’বার দীর্ঘ সময় মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করেছেন এবং তারা সব ধরনের ঝুঁকির বিষয়ে অবগত। উইলমোরের বয়স ৬১ বছর, সুনিতার বয়স ৫৮ বছর। তারা দু’জনই তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে নাসা। তারা ফিরে আসার আগ পর্যন্ত আগামী কয়েক মাসে কিছু বৈজ্ঞানিক এবং মহাকাশ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। তাদের একাধিকবার মহাকাশে হাঁটার (স্পেসওয়াক) সম্ভাবনাও আছে।

স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে কী ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিয়েছে, তা খুঁজে পেতে কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বোয়িং ও নাসার প্রকৌশলীরা। তারা মহাকাশে এবং পৃথিবীতে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।  এ বিষয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, মহাকাশযানটিতে কী কী উন্নতি করা প্রয়োজন, তা বুঝতে বোয়িং নাসার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। মহাকাশযাত্রা মানেই ঝুঁকির বিষয়। সব সময় নিরাপত্তাই আমাদের মূলমন্ত্র। খবর বিবিসির।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image