
নিউজ ডেস্ক: মহান মুক্তিযুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস জাতির সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের পাশাপাশি গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শুক্রবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় 'বজলুর রহমান স্মৃতি পদক' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যথেষ্ট নয়। এটি আরও সমৃদ্ধ করা দরকার। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সংরক্ষণ করলেই হবে না। এর সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা কীভাবে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন করেছে- সেই ইতিহাসও তুলে ধরতে হবে। এসব বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার। পাঠ্যসূচিতে এগুলো না থাকলে প্রকৃত ইতিহাস আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সমকালের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবু সালেহ রনি এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণায় যৌথভাবে শাহাদুজ্জামান ও ড. খায়রুল ইসলামকে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক দেওয়া হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছিল। শাহাদুজ্জামান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর পক্ষে খায়রুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে একাত্তর টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পার্থ সঞ্জয় এই পুরস্কার পেয়েছেন। বিজয়ীদের প্রতি ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট ও ১ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও জুরি বোর্ডের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সদস্য সচিব সারা যাকের বক্তব্য দেন। বিজয়ীদের শংসাবচন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জুরি বোর্ডের সদস্য রোবায়েত ফেরদৌস এবং জাদুঘরের গবেষক রেজিনা বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাদুঘরের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: