বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন সহস্রাধিক যাত্রী মিঠামইন শান্তিপুর ফেরীঘাটও বালিখলা ফেরীঘাট দিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিন সকাল ৭ টার পূর্বে কোন সময় ফেরী চলাচল করেনা। প্রতিদিন ভোর বেলা থেকে শতশত গাড়ী ফেরী ঘাটে আটকা পড়ে থাকে। শুধু যাত্রী চলাচল নয়, মালামাল পরিবহনেও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের।
এছাড়াও ফেরী পারাপারের সময় যাত্রী ও গাড়ীতে ফেরী লোড হলেও চালকরা তাদের ইচ্ছেমত চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফেরীতে টানানো টোল চার্টের অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে গাড়ী চালকদের নিকট থেকে। বিগত বছরের চেয়ে এবছর দ্বিগুন টাকা নিচ্ছে ফেরী কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মাইক্রোবাস পারাপারে ২০০ টাকা, সিএজি ৪০টাকা, হোন্ডা ২০ টাকা, মিনি ট্রাক ৩০০টাকা, অটো রিকসা ৩০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করছে। ফেরিতে টানানো টোল চার্টের দ্বিগুন আদায় করছে অভিযোগ চালক ও যাত্রীদের।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ফেরীর একজন টোল আদায় কারী জানান, আমাদের বলে কোন লাভ নেই, উপরের নির্দেশে আমরা টোল আদায় করছি, এ টোলের অর্থ বিভিন্ন জায়গায় দিতে হয়। সকাল ৭টার পূর্বে ফেরী চলাচল করছেনা। সন্ধা ৭টার সময় ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরী কোন রোগী রাতের বেলা জেলা সদর কিশোরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতালে নিতে হলে রোগীদের চরম দূভোর্গ পোহাতে হয়। শুধু মাত্র ভি আই পি ছাড়া রাতে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকে।
সরজমিনে ২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে বালিখলা ফেরীঘাটে গেলে দেখা যায়, ঢাকা থেকে একটি পরিবার ভাড়া করা একটি মাইক্রোবাস নিয়ে অষ্টগ্রামের উদ্দ্যেশে যাওয়ার জন্য বালিখলা ফেরীতে উঠে। এসময় ফেরীর টোল আদার কারী মাইক্রোবাসের চালক গিয়াস উদ্দিনকে ফেরীর টোল দিতে বলে, সে নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজী না হলে প্রথমে তর্কবির্তক শুরু পরে একপর্যায়ে ফেরীর টোল আদায় কারীরা চালকের উপর চড়াও হয়।
এসময় অন্যান্য যাত্রীরা বলেন, এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কর্তৃপক্ষ জেনেও কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে ফেরী ছাড়াও নদী পারাপারের জন্য ছোট ছোট ইঞ্জিন বোট রয়েছে। সেখানে ৫ মিনিটের রাস্তায় জন প্রতি ১০টাকা ভাড়া নিচ্ছে। মালামাল নিয়ে আসলে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীদের সাথে করছে খারাপ আচরন। কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকোশলী রিতেশ বড়–য়ার সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফেরীতে অনিয়মের বিষয়টি তিনি জানেন না, কোন অনিয়ম হলে তাৎক্ষনিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাতের বেলা ফেরী চলাচলের বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: