- ঢাকা
- রবিবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
- সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮
Advertise your products here
নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ’ শীর্ষক রেজুলেশন( প্রস্তাব) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে ।
বুধবার( ১৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটিতে প্রস্তাবটি ওঠে । এটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন । এ প্রস্তাবে ১১৪টি দেশ সহ- পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ ।
রেজুলেশন গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি বলেন, ‘ বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব এবং খুব সীমিত সম্পদ রয়েছে । আমাদের ভূখণ্ডে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই । তাদের অবশ্যই মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে ।
রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার সরকারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি । এ বিষয়ে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি । এছাড়া বাংলাদেশে অস্থায়ী ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।
রেজুলেশনে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদারতা ও মানবিক সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে । এছাড়া ভাসানচর প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে ।
মিয়ানমারের অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয় এতে । সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ উদ্ঘাটন করতে এবং তাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে । সর্বোপরি, ‘ রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং ’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: