নিউজ ডেস্ক : গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী যৌথ সভায় বলেন- আপনাদের উন্নয়নের লুকোচুরি প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়েছে। আপনারা যদি এতোই উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে সারা দেশে লোডশেডিং কেন হচ্ছে? আপনারা এতোদিন গলা ফাটিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে না, শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হবে না তবে এখন কেন বলছেন শ্রীলঙ্কার মতো গভীর অর্থ সংকটে পরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা কোন রাজকোষের টাকা নয়, আপনি বা আপনার সরকার চাইলেই যাকে তাকে টাকা দিতে পারেন না। বাংলাদেশের জনগণের টাকা লুটেরাদের সুবিধার্থে বিলিয়ে দিচ্ছে রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করা অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার। গণফোরাম এই হীরক রাজার দুঃশাসন থেকে দেশের জনগণকে মুক্ত করতে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
৫ জুলাই বিকাল ৫টায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আসাদুজ্জামান বীর প্রতীক(অব.)।
সভাপতির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বলেন- সমাজ ও সভ্যতা ধ্বংসের পাঁয়তারায় সফল হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার নইলে কীভাবে সমাজ-সভ্যতার কারিগর শিক্ষকদের প্রশাসনের সম্মুখে লাঞ্ছিত এবং নিজ ছাত্রের স্ট্যাম্পের আঘাতে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার থাকলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করা হতো এবং তাদের নূন্যতম বিবেক ও লজ্জাবোধ থাকলে তারাই পদত্যাগ করত। সামাজকে বিভাজিত করে ন্যায়-নীতি-মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত করতে পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষকদের উপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন করছে। যে জাতী বা সমাজ শিক্ষকের মর্যাদা দিতে পারেনা সে জাতী বা সমাজ কখনোই মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে না। শিক্ষকদের এই অপমান অপদস্ত করে হত্যা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় গণফোরাম।
আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক আইয়ুব খান ফারুক, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন, মশিউর রহমান বাবুল, ফারুক হোসেন, কামাল উদ্দিন সুমন, রবিউল ইসলাম রবি, শেখ শহিদুল ইসলাম, তানভির আহমেদ, রিয়াদ হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীম প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন