
নিউজ ডেস্ক: উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৩ হাজার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়ে বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই প্রস্তাব অনুমোদিত হলে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা আরো বাড়বে ১ হাজার ৮০০। হাসপাতালটির বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ শয্যাসংখ্যা ৩ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমাদের প্রশাসনিকভাবে ১ হাজার ২০০ শয্যা রয়েছে। কিন্তু তার কয়েক গুণ বেশি রোগী এখানে প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকে। তাই এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা আরো ১ হাজার ৮০০ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত ১ হাজার ৮০০ না বাড়লেও আশা করছি, আরো ১ হাজার ২০০ শয্যা বাড়তে পারে। ১ হাজার ২০০ শয্যা অনুমোদন পেলে আগামী দুই বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও হাসপাতালের মিডিল ক্লাব ১০ তলা ফাউন্ডেশন। সেখানে পাঁচতলা সম্পন্ন হয়েছে। এই ভবন বাড়ানো যাবে। সবমিলিয়ে আরো ১ হাজার ২০০ শয্যার জায়গা সহজেই হয়ে যাবে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নওশাদ আলী বলেন, শয্যা বাড়লে চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য জনবলও বাড়বে। অর্থাৎ শয্যা ও জনবল বাড়লে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেই। বর্তমানে এই হাসপাতালে ৯০ শতাংশ রোগের পরীক্ষা করা হয়। কয়েক বছর ধরে এই হাসপাতালের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আরো কিছু বাকি আছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলের রোগীদের আর বাইরে যেতে হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, প্রায় একযুগ আগে রামেক হাসপাতালের শয্যা ৫৩০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ করা হয়েছে। ওয়ার্ড প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সেই অনুপাতে বাড়েনি জনবল। ফলে হিমশিম অবস্থায় ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে বিগত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইযাজদানীর প্রচেষ্টায় চিকিৎসাসেবা সহজ করতে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে এ হাসপাতালে। আউটডোর-ইনডোর প্যাথলজি, ব্লাড ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও টিকিট কাউন্টার ছয়টি থেকে ১৫টিতে উন্নীত করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শামসুল হক বলেন, আমরা আগে এটাকে সদর হাসপাতাল বা বড় মেডিক্যাল নামে চিনতাম। এখনো অনেকেই এই নামে চেনে। তবে তিন বছর আগে যে মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছেন, তিনি এখন আসলে ঠিকঠাক চিনতে পারবে না। কারণ অনেক সুন্দর হয়েছে হাসপাতালটা। এখন অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তার সঙ্গে থাকা রাকিব হোসেন বলেন, হাসপাতালে রোগীদের জায়গা হয় না। অনেক রোগীকে মেঝেতে থাকতে হয়। তবে শয্যা বাড়লে অনেক ভালো হবে। শয্যা বাড়লে তো ডাক্তার, নার্স বাড়বে। এতে করে রোগীরা আরো ভালো চিকিৎসাসেবা পাবেন।
রামেক হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট সুফিয়া খাতুন বলেন, শয্যা বাড়লে অনেক সুবিধা বাড়বে। চিকিৎসক বাড়বে, নার্স বাড়বে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাড়বে। সেবার মান বাড়বে। রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাবেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: