
নিউজ ডেস্ক : মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীদের মতামত নেওয়া হয়নি বা কোনো পর্যবেক্ষণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করে মেট্রোরেলের কিলোমিটার প্রতি ও সর্বনিম্ন ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
এসময় তারা মেট্রোরেলের নির্মাণ খরচ বেশি হওয়ার ভাড়া বেশি নির্ধারণের অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বেসরকারি লক্কড়-ঝক্কড় বাস কোম্পানিগুলো লাভবান হবে। সামর্থ্যহীন যাত্রী সাধারণ মেট্রোরেল ব্যবহারের সক্ষমতা হারাবে। তাই মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যহত হবে।
প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম বলেন, অনভিজ্ঞ লোকজন মেট্রোরেল নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়ায় তারা কোনো সমীক্ষা বা গবেষণা ছাড়াই এশিয়ায় সর্বোচ্চ ব্যয়ে মেট্রোরেল নির্মাণের যাবতীয় খরচ যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে চড়া দামে উসুলের লক্ষ্যে এবং বেসরকারি বাস কোম্পানিগুলোকে লাভবান করতে ঢাকার মেট্রোরেলে সর্বোচ্চ হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আবদুল হক বলেন, মেট্রোরেলের বিদ্যমান ভাড়া কমানোর পাশাপাশি নিয়মিত যাত্রীদের মাসিক কার্ডে বিশেষ সাবসিডি, বন্ধের দিনে আকর্ষণীয় ভাড়ার হার নির্ধারণ, মেট্রো থেকে নামার পর হাঁটার পরিবেশ তৈরির জন্য ফুটপাত পরিষ্কার রাখা, কানেক্টিং রোডে পর্যাপ্ত বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ব্যবস্থা রাখা, বিশেষ বিশেষ স্টেশনগুলোতে কার ও বাইসাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা এবং মেট্রোরেলের পরিচালনা পরিষদে যাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।
নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, জনস্বার্থকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। গণপরিবহন হলেও মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণমানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হকসহ অনেকে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: