নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) বিকাল পর্যন্ত ৭ উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়েছে রেল যোগাযোগও।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদের পানি সামান্য কমলেও কলমাকান্দায় উব্ধাখালি, নেত্রকোনা ও মোহনগঞ্জে কংশ ও খালিয়াজুরীতে ধনু নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রাথমিক হিসাবে ৭টি উপজেলার কমপক্ষে ৫০০ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্যাকবলিত এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে বারহাট্টা উপজেলার অতীতপুরের রেল স্টেশনের কাছে ইসলামপুর গ্রামে ৩৬ নং রেল সেতুটি ধ্বসে গেলে ঢাকা-মোহনগঞ্জ ভায়া নেত্রকোনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানান, পানির স্রোত না কমলে সেতু মেরামত করা যাবে না, ট্রেন ও চলবে না। তবে নেত্রকোনা শহরের বড় রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালানো যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে। হাওর উপজেলা মোহনগঞ্জ এবং খারিয়াজুরীর বন্য পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। সেখানে অনেকেই স্থানাভাবে আশ্রয় পাচ্ছে না।
শনিবার নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্টা উপজেলার কয়েকটি বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ১৮৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সেখানে শুকনা খাবার ছাড়াও চাল প্রদান এবং নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার প্রদান করা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ৭৫ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
নেত্রকোনার সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: