• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কুমিল্লায় চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ট 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৮ এএম
কুমিল্লায় চৈত্রের ভ্যাপসা
গরমে জনজীবন অতিষ্ট 

মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম, কুমিল্লা : দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সকল পেশার মানুষ গত কয়েকদিনের চৈত্রের শেষ মূহূর্তে আগাম গ্রীষ্মের তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। চৈত্র মাস জুড়ে আগাম নববর্ষের আগমনী বার্তায় প্রচন্ড খরা ও ভ্যাপসা গরমে মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে এলাকার অলি-গলি, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে ২/৩ কিছুটা বৃষ্টি হলেও গত ২০ দিনে তীব্র খরা, গরমের তাপদাহে ৫টি উপজেলার জনজীবন, গ্রামীনকুল বিপর্যস্ত ও দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

এর ফলে নানান ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে কয়েকহাজার শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধসহ সকল পেশার মানুষ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ধুলা-বালুতে বাতাসে বিষাক্ত শিসা ছড়াচ্ছে এবং পুড়ে যাচ্ছে গাছপালা ও আবাদী জমির ফসল। এ দিকে অবৈধ ট্রাক্টর-ভেগু দিয়ে মাটি কাটার ফলে সরকারের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধুলো বালি উড়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে।   

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, টানা ফালগুন- চৈত্র মাস জুড়ে  গরমের তীব্রতা এ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শত শত শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ আক্রান্ত হচ্ছে গরমজনিত বিভিন্ন ভাইরাস রোগে। গত কয়েক সপ্তাহে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের প্রায় ৩ সহস্রাধিক বিভিন্ন ভাইরাস রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন সরকারী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে। ঔষধ দোকানগুলোতে বিভিন্ন ভাইরাস রোগীদের প্রচুর ভীড় বাড়ছে। এ অঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মানুষ। দিনে প্রচন্ড গরমে এ অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ, শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধদের পোহাতে হচ্ছে বাড়তি দূর্ভোগ। এছাড়া বিভিন্ন ভাইরাস রোগ মারাত্মক ভাবে দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় কিছুটা স্বস্থিও চৈতালী বাতাস থাকলেও বিশুদ্ধ পানি ও ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। খাল-বিল, পুকুর, নদী এখন পানি শূন্য। মানুষ বাজার থেকে বিশুদ্ধ পানির নামে বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতল ও জার এবং ভেজাল ঔষধ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। 

সূত্রগুলো আরও জানায়, স্থানীয় আবহাওয়া অফিস টানা ভ্যাপসা গরমের আগামবার্তা ঘোষনা দেয়ায় চলমান ইরো-বোরো মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকা করলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুম অনেক দেরী হচ্ছে। ফলে আসন্ন আমন ধান- গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ও মৎস্য চাষে বর্তমান পানি সংকটে বড় ধরনের দূর্ভোগে পড়েছে কৃষকরা। চৈত্রের এ গরমের তাপদাহে স্থানীয় খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের জীবনযাত্রার উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক মাসে প্রচন্ড খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে এলাকায় গরমজনিত বিভিন্ন  ভাইরাস রোগ-ব্যাধি বেড়ে গেছে। এসব রোগের আক্রান্ত রোগীরা প্রতিনিয়ত ভীড় করছে ঔষধের দোকানগুলোতে। এসব ভাইরাস রোগে শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। ২/৪ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে রোগ-ব্যাধি আরো বাড়বে বলে ধারনা এলাকাবাসীর। 

স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানায়, চলমান রমজান মাসের শুরু থেকে গত কয়েকদিনের টানা গরমে ভাইরাসজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফাল্গুন-চৈত্রের তাপদাহ ও দিনে ভ্যাপসা গরম ও রাতে শীত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্ম ও এ্যাজমাসহ বিভিন্ন ভাইরাস রোগীর সংখ্যাই বেশি। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, প্রচুর ঠান্ডা পানি, ঠান্ডাজনিত খাবার, স্যালাইন, শরবত, আখের রস, জুস, আইস ও মৌসুমী ফল-ফলাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এ তাপদাহ কেবলমাত্র জনজীবনে অস্থিরতা আনছে না বরং মানবদেহের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তার উপর দিনে -রাতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুৎ ভেলকিবাজিতো আছেই। 

এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্যদপ্তরসহ  একাধিক দপ্তর কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image