
পারভেজ ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি : বাবা হলেন বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তার মেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। নিজে দেশের কাজে নিয়োজিত থেকে মেয়েকেও দেশের কাজে যোগদানের যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।
সম্প্রতি বাবা-মেয়ে উভয় উভয়কে স্যালুট দিলেন। দেশ সেবায় নিয়োজিত দুই বাহিনীর এ দুই কর্মকর্তার স্যালুট দেয়ার এ ছবিটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছে বাবা-মেয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বাবা-মেয়ের এই ছবি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই সেখানে বাবা-মেয়ে দুজনকেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পদমর্যাদার চেয়ে রক্তের বন্ধন হৃদয় ছুঁয়েছে সবার।
হাজারো মানুষের ভালোবাসা, শুভ কামনা আর অভিনন্দন বার্তায় সিক্ত হচ্ছেন সেনাবাহিনীতে সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. শাহনাজ পারভীন। তার গর্বিত বাবা রংপুরের গংগাচড়া মডেল থানার এসআই আব্দুস সালামও ভাসছেন প্রশংসায়। এসআই আব্দুস সালাম রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানায়। বর্তমানে চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে রংপুরে রয়েছেন।
জানা গেছে, আব্দুস সালাম তিন সন্তানের জনক। তার তিন সন্তানই মেয়ে। তবে ছেলে সন্তানের অভাববোধ নেই পরিবারে। বড় মেয়ে শাহনাজ পারভীন রংপুর মেডিকেল কলেজের ৪৩তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সেশন ২০১৩-২০১৪। ইন্টার্ন শেষ করে সম্প্রতি ক্যাপ্টেন পদে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। মেজো মেয়ে উম্মে সালমা একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি পড়ছেন তৃতীয় বর্ষে। সবার ছোট স্মৃতিমনি মীম এসএসসি পরীক্ষার্থী।
নিভৃত গ্রামের স্কুল থেকে উঠে আসা শাহনাজ পারভীন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন সেখানকার ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজে। ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৩-১৪ সেশনে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শাহনাজ পারভীন।
কথা হলে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঢাকা নিউজ ২৪ কে বলেন, বড় মেয়ে শাহনাজ পারভীন ইন্টার্ন শেষ করে সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদে চাকরি পেয়েছে। ছোট থেকেই সে পড়ালেখায় খুবই মনোযোগী ছিল। বেশিক্ষণ বইখাতা নিয়ে পড়ে থাকত না। যা পড়ত-দেখত খুব সহজেই তাই মুখস্ত হয়ে যেত। সারাদিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পড়ালেখা করত। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা অহেতুক ঘোরাফেরা ছিল না। সারাদিন নিজেকে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে সেই চিন্তাটা ওর (শাহনাজের) মাথায় ঘুরঘুর করত।
ঢাকানিউজ২৪.কম / পারভেজ ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন: