হেলালুর রহমান জুয়েল, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। পৌষের তীব্র শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে চারা তোলা,জমি তৈরি করা ও জমিতে চারা রোপনে দিন অতিবাহিত করছেন এ উপজেলার কিষাণ-কিষাণী আর কৃষিশ্রমিক। সেচযন্ত্রের মালিকরা ব্যস্ত এখন জমিতে পানি সেচ দিতে। চাটমোহরের বিভিন্ন মাঠ আর বিলে যেন অন্য রকম এক দৃশ্য।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,চলতি বোরো চাষ মৌসুমে এ উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ এলাকায় সাধারণত ব্রি ধান-২৮, ২৯,৫০.৫৮,৬৪,৮১,৮৪,৮৯,৯২ ও ৯৬ জাতের ধান চাষ হয়। এ তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতটি। এছাড়া হাইব্রিড ইস্পাহানী,এসএল ৮ এইচ,তেজ গোল্ড,দোয়েল, টিয়া ও ব্রাক জাতের ধান চাষ হয়।
উপজেলার হান্ডিয়াল গ্রামের কৃষক আঃ মতিন জানান,চারা উৎপাদন,জমি তৈরি, মই দিয়ে জমি সমান করা,চারা রোপন,সার,কীটনাশক,আগাছা পরিষ্কার এবং ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়। ধান ভাল হলে প্রায় ২৫ মণ হারে ফলন পাওয়া যায়। যারা অন্যের জমি লীজ নিয়ে চাষ করেন তাদের প্রতিবিঘায় অতিরিক্ত আরো ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ধানের দামের সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় খুব একটা লাভ হয়না। আবার জমিও অনাবাদি রাখা যায়না। অনেক কৃষক গবাদী পশু পালন করেন। খড়ের প্রয়োজনেই বোরো ধান আবাদ করতে হয় তাদের।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ জানান,চলতি মৌসুমে জমিগুলোতে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। যেসকল জমিতে মাঘী সরিষা রয়েছে সেসব জমিতে আরো অন্তত এক মাস পর বোরো ধানের চারা রোপণ করবেন কৃষকেরা। ৪৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমান সময়ে ধানের ভাল দাম থাকায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: