• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মৌলভীবাজারের ৭ টি উপজেলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৫৪ পিএম
বন্যার পানিতে প্লাবিত
হাকালুকির হাওর বড়লেখা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট : সিলেট সদর, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার পরে এবার মৌলভীবাজারে বেশ কটি উপজেলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে বন্যার পানি। এদিকে বড়লেখার আর কুলাউড়াতে হাকালুকি হাওরে বন্যা পানি সমুদ্রের মত দেখা যাচ্ছে।  

শনিবার ১৮ জুন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে দেখা গেছে।  হাকালুকি হাওর পাড়ে অনেক ঘরবাড়িতে পানিতে ডুবে গেছে।  

ভানুগাছ থেকে বেড়ানো শেষ করে পারাবত ট্রেনে আলাপ হয় ৬ বছরের শিশু নুসরাত জাহান তনু এর সাথে হাকালুকি হাওরে বন্যার পানি দেখে চিন্তায় ট্রেনে একপ্রকার মন খারাপ বসে থাকে জানালা ঘেষে ।  তনু'র বাড়ি সিলেটের সুবিদ বাজার  আম্বরখানা এলাকায়  তনু বাসা। বাসার পাশেই হাটু পানির  মা' র সাথে ফোনে আলাপ কালে  তনু জানতে পারে পানির কথা।  

বড়লেখা উপজেলা :                     
বড়লেখা উপজেলায় অতি ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং কুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওড় এর  পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড়লেখা পৌর এলাকা এবং ১০টি ইউনিয়নের ২০০টি গ্রাম  প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১,৬০,০০০ জন। পাশাপাশি পাহাড় ধ্বসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে ০১ জন নিহত ও সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে ০১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন ইতিমধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলা :
কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওড়ের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ০৭টি ইউনিয়ন (যথা: ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর, ও কুলাউড়া সদর)  ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

এছাড়া কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া, পুরশাই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। অর্ধ শতাধিক গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী  অবস্থায় নিজ নিজ বাসভবনে অবস্থান করছে। গ্রামগুলোর সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

জুড়ি উপজেলা :
জুড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে  সৃষ্ট বন্যায় এ উপজেলাধীন ২৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এ সকল গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।  

এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও জায়ফরনগর ইউনিয়নের  গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে।

মৌলভীবাজারের সদর:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এর কারণে ০৬টি ইউনিয়ন যথা:খলিলপুর, মনুমুখ,আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউপি (আংশিক) প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭,৫০০জন।  

রাজনগর উপজেলা:
রাজনগর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এর কারণে ০৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০,০০০ জন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা :
শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এর কারণে ০৫টি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪,০০০ জন।

কমলগঞ্জ উপজেলা:
কমলগঞ্জ উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙ্গে অত্র উপজেলার ০৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃ জহিরুল ইসলাম/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image