• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সড়ক পরিবহন আইনের পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি নিসচার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:২০ পিএম
সড়ক পরিবহন আইনের পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে
সংবাদ সম্মেলনে নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন

নিউজ ডেস্ক : জনগনের প্রত্যাশিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে নিসচার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২৪ জুলাই সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। একই সাথে দেশব্যাপী নিসচার সকল শাখা সমূহও একই দাবীতে একই সময়ে নিজ নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে।

নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এবং সেই সাথে সারা দেশে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উক্ত শাখা সংগঠন সমূহের সভাপতি/ সাধারন সম্পাদক।

নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন, যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মিরাজুল মইন জয়, শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, নির্বাহী সদস্য লায়ন গনি মিয়া বাবুল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবুল । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন খান নান্টু, মহাসচিব সৈয়দ এহসান -উল হক কামাল। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আসাদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ আলম মিলন, নির্বাহী নাসিম রুমি, একে আযাদ, আলাল উদ্দিন, সদস্য সাফায়েত সাকিব, কামাল হােসেন খান, মো: মহসিন, আলী আকবর সহ অন্যান্য সাধারন সদস্য।

নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্পষ্টভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি, বিভিন্ন রকম দাবি, আবদার এবং করোনা সমস্ত কিছু মিলিয়ে গত বছরের ১নভেম্বর থেকে এ বছরের ১নভেম্বর পর্যন্ত ১২মাস পার হয়ে গেছে এবং আগামী ১জানুয়ারী পর্যন্ত  আরো ২মাস অর্থাৎ ১৪মাস চলে যাচ্ছে । এই ১৪ মাসের পরে ১জানুয়ারী থেকে যেন এই সড়ক পরিবহন ২০১৮ আইনটি পুরোপুরি ভাবে কার্যকর করা হয়। কোন ভাবেই যেন এর ব্যত্যয় না ঘটে। কারণ এই আইনটি ছিলো জনগনের প্রত্যাশিত আইন। জনগনের প্রত্যাশিত আইনের কোন রকম ব্যত্যয় ঘটুক তা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন মেনে নেবে না। আমরা চাই আগামী ০১ জানুয়ারি ২০২১ সাল হতে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সর্বমোট যানবাহনের সংখ্যা ৪৫,৬৪,২৮৪ (পঁয়তাল্লিশ লাখ চৌষট্টি হাজার দুইশত চুরাশি) এর ভেতর ভারী যানবাহন- এর সংখ্যা ৩,১৯,১৪৭ (তিন লাখ ঊনিশ হাজার একশত সাতচল্লিশ)। বিআরটিএর তথ্যমতে। নতুন সড়ক পরিবহন ২০১৮ আইনে শাস্তির যে কথা বলা হয়েছে তা শুধু তাদের একার জন্য করা হয়নি। এটি সর্ব মহলের জন্য করা হয়েছে। কিন্তু কিছু মহল আজ আমার নামে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমি কারও পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলিনা, আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারাই অনিয়ম করেন তাদের বিপক্ষে কথা বলি। কোনো কোনো চালক ধরে নেন তাদের বিপক্ষে কথা বলছি, এটা দুঃখজনক কিংবা ভুল বোঝাবুঝি।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রয়োগে যখনই উদ্যোগ নেয় তখনই পরিবহন সেক্টরের চক্র বাঁধা সৃষ্টি করে। তারা নতুন করে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে। শুধু তাই নয়, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে দেয়। এমনকি আমাকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়। আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। যা সত্যিই দুঃখজনক। আমি বলবো নতুন আইনের বিষয়ে তারা কোনও প্রস্তুতি ইচ্ছে করেই নেয়নি এবং নিচ্ছে না। তারা শুধু দোষারোপ করে গেছে তাদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য। সময় থাকতে গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস এবং গাড়ির আকৃতি পরিবর্তনজনিত অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো সংশোধনে তারা মনোযোগ দেয়নি। এসব ত্রুটি- বিচ্যুতি যদি তারা নতুন আইন প্রয়োগের আগেই সমাধান করতেন তা হলে নতুন করে আইনের কয়েকটি বিষয় ছাড়ের সময়সীমা আর বাড়ানোর প্রয়োজন হতোনা।

বিশেষ করে এই আইনটি প্রয়োগে মাঠে সক্রিয় থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের পূর্ণ প্রস্তুত করতে প্রথমেই আসে যে মেশিন দ্বারা তারা জরিমানা করে সেটার আপডেট করা (বর্তমান আইন অনুযায়ী), তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করা, গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস এবং গাড়ির আকৃতি পরিবর্তনজনিত অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো সংশোধনে বিআরটিএকে সক্ষম ও আধুনিকায়ন করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটার সিস্টেম আপগ্রেড করা, জনগণকে এই আইন সম্পর্কে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ক্যাম্পেইনের অভাব দূর করা (কারণ এই আইনে যাত্রী পথচারীদেরও আওতায় আনা হয়েছে), সর্বোপরি এই আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি দাবি করবো এই আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে এই বিষয়গুলোর দিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করছি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image