• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দুর্গাপুরে পল্লী বন্ধু উন্নয়ন সংস্থা‘র প্রতারণা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৪৯ পিএম
পল্লী বন্ধু উন্নয়ন সংস্থা‘র প্রতারণা

সাহাদাত হোসেন কাজল, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: স্থানীয় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে নানামুখি প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে পল্লী বন্ধু উন্নয়ন নামক একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর শাখা থাকলেও অত্র এলাকায় আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে মর্মে নিয়োগ বানিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের মতো কাজ করে যাচ্ছে নেত্রকোণার দুগার্পুর উপজেলায়। এতে স্থানীয় মানুষের সঞ্চয় আমানত ও চাকরি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সংস্থায় বছরে ৩ থেকে ৪ বার কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করে আগ্রহী ব্যাক্তিদের কাছ থেকে নিয়োগ বাবদ ১০ হাজার টাকা জামানত ও প্রশিক্ষণ করানোর কথা বলে আরও ১৫০০ টাকা হাতিয়ে নিলেও কোন প্রশিক্ষণ করানো হয় না। কোনো কারণে কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দিলে জামানত ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে আর তা ফেরত দেওয়া হয়না। সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্যদের জমা রাখতে হয় সঞ্চয়। দীর্ঘ সময় ধরে সদস্যদের জমানো সঞ্চয় সদস্যদের অজান্তেই উত্তোলন করা হয়। এছাড়া সদস্যদের ওই সংস্থায় ৬ বছরে আমানতের দ্বিগুন প্রদানের কার্যক্রম চালু থাকলেও মেয়াদ পুর্তির পর নানা অজুহাতে কর্তন করে রাখা হয় গ্রাহকের টাকা। 

মামুনুর রশীদ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর আমি তাদের শরণাপন্ন হলে আমার থেকে ১০হাজার টাকা চাকরীর জামানত বাবদ জমা নিয়েছে। আমি ৩ মাস চাকরি করার পর বিশেষ প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দিতে হলে আমার জামানতের টাকা আর ফেরত পাইনি। স্থানীয় ব্রাঞ্চ ম্যানজারের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, তাদের নাকি নিয়ম রয়েছে ১ বছরের আগে চাকরি ছাড়লে কোন প্রকার জামানত ফেরত দেয়া হয় না।

অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, ২০১৫ সালে দুর্গাপুর শাখায় সদস্য হয়। পরবর্তীতে একটি ঋণ নেয় এবং যথা সময়ে ঋণ পরিশোধও করি। এরপর টাকা জমানোর কথা ভেবে সংস্থার বিধিমোতাবেক টাকা সঞ্চয় রাখা শুরু করি। হঠাৎ মাঠ কর্মী টাকা নিতে আসা বন্ধ করে দিলে স্থানীয় অফিসে গিয়ে খোজ নেয়ার পর জানতে পারি, আমার সমুদয় টাকা নাকি আমি নিজ ইচ্ছায় তুলে ফেলেছি। কিন্তু আদৌ আমি আমার কোন টাকা উত্তোলন করেনি। আমার পাশ বই আমার কাছে থাকার পরও বই ছাড়া ও আমার স্বাক্ষর ছাড়া কিভাবে টাকা উত্তোলন করা হলো এটাই জানার বিষয়।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, ওই এনজিও সংস্থাটি নিয়োগ বানিজ্য খুলে বসেছে। দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। আমরা এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে আমাদের মামলার ভয় দেখালে আমরা চুপ থাকি। এ ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। টাকা আত্মসাৎ ও নানা অনিয়ম নিয়ে ওই সংস্থার সমন্বয়কারী জয়নাল আবেদীনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এ নিয়ে কোন অভিযোগ নাই বলে জানান।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image