
ডেস্ক রিপোর্টার: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ, বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেই লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি অনুমোদনের জন্য আগারগাঁও এ অবস্থিত বন অধিদফতরের আয়োজিত জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা কর্মশালায় উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ অন্তর্ভুক্তি সাপেক্ষে অনুমোদন করেন তিনি।
বনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং বার বার যাচাই-বাছাই ও গবেষণার পরেই লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সাফারি পার্কটি নির্মিত হলে লাঠিটিলা বনাঞ্চল অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং বন সংরক্ষিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরত মানুষের ঐকমত্য এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের মতামত বিবেচনায় নিয়ে এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্মিত দুটি সাফারি পার্কের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগানো হবে, যাতে আর কোনো বন্যপ্রাণীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু না হয়।
দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন মন্তব্য করে বনমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৭টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
কর্মশালায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্থপতি ইশতিয়াক জহির এবং প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় সাফারি পার্কের মোট আয়তন ৫ হাজার ৬৩১ একর। যার মধ্যে মূল সাফারি পার্কের আয়তন ২৭০ একর। ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২২-২০২৬ সালের মধ্যে সাফারি পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: