• ঢাকা
  • রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জাতিসংঘে ই-সরকার উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৫৩ এএম
জাতিসংঘে ই-সরকার
উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

নিউজ ডেস্ক : এ বছর ১১ ধাপ এবং ই-পার্টিসিপেশন সূচকে ৫ ধাপ জাতিসংঘের ই-সরকার উন্নয়ন সূচকে উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের। ২০০৩ সালের পর এবার সর্বোচ্চ ইজিডিআই ভ্যালু (০.৬৫৭০) অর্জন করেছে। তবে এই অর্জন নিয়ে তুষ্ট থাকতে পারছেন না খাত সংশ্লিষ্টরা। কেননা, অনলাইন সেবা সূচকে উন্নতি হলেও মানব সম্পদ ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ততটা ভালো করেনি। একইভাবে প্রতিবেদনে খাত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের অবদানও উপেক্ষিত রয়েছে বলে মনে করেন প্রযুক্তিবোদ্ধারা। 

এ বিষয়ে সিনেসিস আইটির গ্রুপ সিইও রূপায়ন চৌধুরী বলেন, '১১ ধাপ এগোলেও সামগ্রিকভাবে এই অগ্রগতি খুব একটা ভালো না। কেননা ই-সরকার উন্নয়ন সূচক তৈরি হয় তিনটা ইনডেক্স থেকে। সেগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো না। দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের পরে আমরা। আমাদের তুলনামূলক নম্বর ০.৭৩৭৪। অবস্থান ৬৭তম। এর পুরোপুরি কৃতিত্ব এই সফটওয়‍্যার ইন্ডাস্ট্রির সকল কোম্পানির। অথচ সবচেয়ে কম বরাদ্দ থাকত সফটওয়‍্যারে। বছরে মনে হয় না ৫০০ কোটি টাকা শুধু সফটওয়‍্যারে বরাদ্দ থাকত। কোম্পানি কাজ করে ১৩০০'রও বেশি। বেশি বরাদ্দ থাকে হার্ডওয়‍্যার, ট্রেনিং-এ, বিদেশি ট্রেনিং ও সরকারের বিভিন্নভাবে থাকা কনসালটেন্টদের পেছনে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়েছে। সেখানেই পিছিয়ে রয়েছে দেশ। 

প্রতিবেদন নিয়ে বেসিস সাবেক সহ-সভাপতি (প্রশাসন) ও বিজনেস অটোমেশন পরিচালক শোয়েব আহমেদ মাসুদ মনে করেন, সার্ভে করলে দেখা যাবে এই সফলতার পেছনে আছে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। সময় এসেছে মূল্যায়ন করার যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের করা সিস্টেম কতটা সহায়ক হয়েছে। এতে যেমন দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের কর্মসংস্থান হয়েছে তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কারণে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের কর্মসংস্থান হ্রাস পাবার পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতি নির্ভরশীলতা, তথ্যের নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের করা কাজটি কী কারণে আন্তর্জাতিক টেন্ডারে যেতে হলো এবং আসলেই এখানে পুরোটাই দেশে করা সম্ভব ছিল নাকি আংশিকভাবে বিদেশে দেওয়া যেত-তা জানা খুব জরুরি। দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় অতীতের সম্পাদিত সফল বা অসফল প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন করা দরকার।


 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image