- ঢাকা
- বুধবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
- সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮
Advertise your products here
নিউজ ডেস্ক : রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের ট্রেনযাত্রায় আগামী ১৪ জুন থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঘরমুখী মানুষের নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে রেলওয়ের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, গত ঈদের মতো এবারও রেলের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। দুই শিফটে দেয়া হবে টিকিট। আগামী ১৪ জুন থেকে ঈদযাত্রার এ অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ওইদিন দেয়া হবে ২৪ জুনের টিকিট, ১৫ জুন দেয়া হবে ২৫ জুনের টিকিট, ১৬ জুন দেয়া হবে ২৬ জুনের টিকিট, ১৭ জুন দেয়া হবে ২৭ জুনের টিকিট এবং ১৮ জুন দেয়া হবে ২৮ জুনের টিকিট।
এ ঈদযাত্রায় ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে ২২ জুন থেকে। আগামী ২২ জুন দেয়া হবে ২ জুলাইয়ের টিকিট, ২৩ জুন দেয়া হবে ৩ জুলাইয়ের টিকিট, ২৪ জুন দেয়া হবে ৪ জুলাইয়ের টিকিট, ২৫ জুন দেয়া হবে ৫ জুলাইয়ের টিকিট, আর ২৬ জুন দেয়া হবে ৬ জুলাইয়ের টিকিট।
রোজার ঈদের মতো এবারও সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। চারটি কাউন্টারে বিক্রি হবে শুধু দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং) টিকিট। ঈদ যাত্রায় কেনা অগ্রিম টিকিট ফেরত দেয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।
ঈদুল ফিতরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, দিনের শুরু থেকেই রেলের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা আশানুরূপ টিকিট পায় না। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। আবার সার্ভারেও অনেক বেশি চাপ তৈরি হয়। তাই এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে। আর ৪ জুন থেকে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।
রেলের অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রডগেজ বগি আনা হবে। এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
.jpg "গৌরীপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন")
আপনার মতামত লিখুন: