দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি: মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। রমজানে শুরুতেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার সময় বেশি চাহিদা হয় এমন সব সামগ্রিরই দাম বেড়েছে। এই মুল্য বৃদ্ধি মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজানের প্রথমদিন বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়,রোজার সময় বেশি চাহিদা হয় এমন সব সামগ্রিরই দাম বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ছোলার দাম।
অন্যদিকে রমজানকে ঘিরে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৬০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। অথচ কয়েকদিন আগে সেটি ১৪০-১৪৫ টাকায়
বিক্রি হয়েছে,প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি,শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা কেজি,লেবু হালিতে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা,কাচা মরিচের দাম কেজিতে ৬০টাকা।
বর্তমানে পেয়াজের ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। খুচরা এক ব্যবসায়ী জানান, দাম তো কিছুটা বেড়েছেই। তবে রমজানের আগেই বেড়েছে এখন আরও কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে আসা রতন মিয়া জানান, রমজান শুরু হয়েছে কিন্তু বাজার দাম কমেনি বরং বেড়েছে। আমরা চলবো কি করে। বেগুন, মরিচ, শষা, লেবু সব জিনিসের দাম বেড়েছে। পবিত্র মাসে দাম
কমানো উচিৎ,অথচ বাজারে দাম বেড়েই যাচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। অপর ক্রেতা মোঃ নাজমুল হক জানান, বাজারে যে উর্ধ্বগতি এটা নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের নজদারি প্রয়োজন। কোনো দোকানে বেগুন ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, আবার কোথাও ১০০ টাকা এভাবে একেকজায়গায় একেক রকম দামে বিক্রি হচ্ছে।
রিক্সাচালক খালেক বলেন, রিক্সা চালিয়ে ৩০০ টাকা রোজগার করেছি। বাসার কিছু সবজি কিনতে আসেছি বেগুন কিনতে গেলাম দাম চেয়েছে ১০০টাকা কেজি। দাম শুনে চোখ তো কপালে।
গরিব হলেও তো খাবার খেতে হয় মনে চায় কিছু খাওয়ার জন্য কিন্তু সব জিনিষই বেশী দাম।
ক্রেতাদের দাবি প্রশাসন যদি নজরদারি না করে তাহলে এসব পণ্যের দাম আরো বেড়ে যেতে পারে। তখন রোজার মাসে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবেনা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: