• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরামপুরে বিদ্যুৎ লোডশেডিং অতিষ্ট জনজীবন, ২টি বিদ্যুৎ ইউনিট সচল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:২৩ পিএম
বিদ্যুৎ লোডশেডিং অতিষ্ঠ জনজীবন
বিদ্যুৎ ইউনিট

রেজোওয়ান আলী, বিরামপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর: বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং অতিমাত্রায় প্রভাব পড়ায় জনজিবনে নেমে এসেছে কঠিন দূর্ভোগ। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর বিরামপুরে জেলা প্রস্তাবিত জনবসতি পূর্ণ অঞ্চলের মানুষ পড়েছে বিপাকে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

২৪ আগষ্ট জেলা প্রস্তাবিত অঞ্চল বিরামপুর উপজেলায় বসবাসরত জনসাধারণ প্রতি ক্ষণে দূর্ভোগের মধ্যে জিবন অতিবাহিত করছে। পক্ষান্তরে প্রতিনিয়ত মানুষ বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ জনজীবনের বেহাল চিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এবিষয়ে অত্র অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা জানান,তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট সচল হয়েছে। ক্রমাগত ভাবে বাকি গুলো অল্পদিনের মধ্যে সচল হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

আরও জানা যায় যে, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২টি ইউনিট থেকে উত্তর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক প্রথম ইউনিট ও তৃতীয় ইউনিট থেকে কয়লা সরবরাহের সংকট থাকলেও উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিটি ১৯৮৫ইং সালে আবিস্কৃত হলেও ভূ-গর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন চলছে। ৬.৬৮ বর্গ কিলোমিটার কয়লা ক্ষেত্র থেকে ১১৮ থেকে ৫০৬ মিটার গভীরতায় ৬টি স্থরে কয়লার মজুদ ৩৯০ মিলিয়ন টন। বর্তমান বিপুল পরিমান কয়লা উত্তোলন হওয়ার পর এখন খনির পয়েন্ট পরিবর্তন করে অন্য পয়েন্ট থেকে কয়লা উত্তোলন আরম্ভ হয়েছে।

এজন্য প্রতি দিন দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার প্রয়োজন প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার পরেও উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। দেশের উত্তর অঞ্চলের শিল্প কলকারখানা ও কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়াতে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের সহযোগীতা করছে। এতে শিল্প কলকারখানা ও কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত রবিবার থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক ৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উৎপাদন হচ্ছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। দেশের উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় চলতি বছর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকলেও বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলমান রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার জানান,আমি ২০২০ইং সালে এখানে যোগদান করার পর ১নং ও ২নং ইউনিট এর অবস্থা খারাপ ছিল,তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দক্ষ প্রকৌশলী,কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে নিয়ে ঐ দুটি ইউনিট সচল করার পর পর্যায়ক্রমে দুটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান উত্তর অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্ঠায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা যায়।।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image