নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, প্রক্টর আসাবুল হক, ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাঊদসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু তার পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার রাবির উপাচার্য পদে যোগদান করেন।
শিক্ষার্থী ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। ১৭সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক পরিষদের নামে গণমাধ্যমে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে না থাকায়, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আস্থা হারিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) এবং অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা), সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ১৭ হলের প্রভোস্ট, লিগ্যাল সেল, যৌন নিপীড়ন সেল, ডরমেটরির প্রশাসক, অবৈধ সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রাজাকার ও আল-বদরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। কোনো অবস্থাতেই পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত কারণ দেখানো চলবে না।'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত চৌধুরী বলেন, 'আপনারা সবাই দেখেছেন সারাদেশের ছাত্রজনতা যখন দেশের স্বাধীনতার জন্য, গণমানুষের মুক্তির জন্য তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছিল। সে জায়গা থেকে আমরা বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে প্রভোস্ট পর্যন্ত এবং অবৈধ সিনেট ও সিন্ডিকেট আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: