• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:০৮ পিএম
সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর
সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদ্য সাবেক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট তিনি সিআইডি প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে তাকে ওই পদ থেকে সরানো হয় এবং এবার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাথে যুক্ত হন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার এই বাসিন্দা সিআইডি প্রধান হওয়ার আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, এবং মানিকগঞ্জ ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তবে এসব পদে দায়িত্ব পালনকালে মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। তখনকার সরকারের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে আসার পরও তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠতে থাকে। তিনি বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ না করে তাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ আলী মিয়া সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে নিজের ক্ষমতা বলয়কে টিকিয়ে রেখেছিলেন এবং সিআইডিতে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন।

এই সিন্ডিকেটে তিনি কতিপয় অধস্তন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যুক্ত করেন। তদন্তের নামে ভুয়া অভিযোগ তৈরি করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করেন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে নারী পুলিশ সদস্যদের যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি নারী কর্মকর্তাদের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। তবে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও তৎকালীন সরকারের সহযোগিতায় তিনি কোনো আইনি বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হননি।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মোহাম্মদ আলী মিয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরিত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি

আরো পড়ুন

banner image
banner image