• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সারাদেশে চা বাগান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:০৭ পিএম
চা বাগান শ্রমিকদের ধর্মঘট 
চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার : সারাদেশে একযোগে ২৩২টি চা বাগান শ্রমিকদের ডাকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

মজুরি বৃদ্ধির চুক্তি ১৯ মাস পার হলেও চা বাগানের মালিকরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি করতে নানান তালবাহানা করছে। সরকারের কাছে দাবী তাদের মজুরি বৃদ্ধি না করা হলে তারা লাগাতার আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।  

শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দেশের সকল চা বাগানে একযোগে ধর্মঘট শুরু হয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।  

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, সকাল থেকে দেশের ২৩১টি চা বাগানের প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করেছেন। সকাল থেকেই শ্রমিকদের ধর্মঘট সর্বাত্নকভাবে পালিত হচ্ছে।

পৃথক পৃথকভাবে শ্রীমঙ্গল শহরে বেশ কয়েকটি চা বাগানের শ্রমিকরা শ্রীমঙ্গল, চৌমুহনা চত্ত্বরে কয়েকশত শ্রমিক অবস্থান করে। মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এদিকে ভৈরববাজার, মাজদিহি চা বাগানের শ্রমিকরাও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। ভৈরব বাজার থেকে কালাপুর বাজার পর্যন্ত র‍্যালী বের করে । 
এসময় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সবাই কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।


সরেজমিনে মৌলভীবাজারের  শ্রীমঙ্গলের ভৈরববাজার মাজদিহি চা গিয়ে দেখা যায়, চা শ্রমিকরা বাগানের  ফ্যাক্টরির সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে । এর আগে তারা ভৈরব বাজার মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। সেইসঙ্গে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এক ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে রাখেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান, আগামিকাল ১৪ ও ১৫ আগষ্ট তাদের অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। আগামি মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) আবার আন্দোলনে যাবে তারা। 

আরও জানিয়েছেন, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আজ থেকে সর্বাত্নক ধর্মঘট পালন করছি। আগামী দুই দিন বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি ও শোক দিবসের কারণে আন্দোলন স্থগিত থাকবে। আমরা বৈঠকে বসে পরবর্তী করনীয় ঠিক করব।

এদিকে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট বিভাগীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়া শ্রমিকদের উচিত হয়নি। এটি শ্রম আইনেরও পরিপন্থী। চায়ের এই ভরা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / মো: জহিরুল ইসলাম

আরো পড়ুন

banner image
banner image